বিশ্ব জলবায়ু অবরোধে উপকূলের জন্য ক্ষতিপূরণের দাবীতে ধর্মঘট ও পদযাত্রা

প্রকাশিত: ৬:৪০ অপরাহ্ণ, মার্চ ৩, ২০২৩


এম কামরুজ্জামান, শ্যামনগর সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ

বিশ্ব জলবায়ু অবরোধ-২৩ এ উপকূলের জন্য ক্ষতিপূরণের দাবী করেছে উপজেলার সকল শ্রেনীর জনগণ। ৩ মার্চ শুক্রবার সকাল ১০ টায় শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাবের সামনে বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা লিডার্স এর সহযোগিতায় উপজেলা জলবায়ু অধিপরামর্শ ফোরাম ও উপজেলা যুব ফোরামের আয়োজনে বিশ্ব জলবায়ু অবরোধ কর্মসূচী উদযাপন অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকল শ্রেনীর মানুষ এই দাবী তুলে ধরেন।
উপজেলা জলবায়ু অধিপরামর্শ ফোরামের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাষ্টার নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস.এম আতাউল হক দোলন, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন,উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খালেদা আয়ূব ডলি,ফোরামের সম্পাদক, শিক্ষক রনজিৎ বর্মন,ফোরামের সদস্য ও সহকারী অধ্যাপক মানবেন্দ্র দেবনাথ,শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আলহাজ্জ জি এম আকবর কবীর,এ্যাকশন এইডের উপজেলা ম্যানেজার লস্কর হোসেন ও উপজেলা যুব ফোরামের সভাপতি মোমিনুর রহমান প্রমূখ।
বক্তারা বলেন“জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব উপকূলীয় অঞ্চল তথা সারাবিশ্বের উন্নয়নের সকল পদক্ষেপকে প্রভাবিত করছে। উন্নত দেশগুলি গ্রীনহাউজ গ্যাস নির্গমন করে জলবায়ু পরিবর্তনকে ত্বরান্বিত করছে। বাংলাদেশ কোন ভূমিকা না রেখেও বেশী ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। বিশেষ করে উপকূলীয় অঞ্চল আরো বেশী ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এই জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবেলা করা ও ক্লাইমেট জাস্টিস প্রতিষ্ঠার জন্য সুইডেনের স্কুল ছাত্রী প্রতিবাদী শিশু অগ্নিকন্যা গ্রেটা থানবার্গ এর ফ্রাইডেজ ফর ফিউচার, সারাবিশ্বের সাধারন জনগণ, যুব ও স্কুল ছাত্ররা জনসমাবেশ, র‌্যালী, মানববন্ধন ও পথসভা করছে।”
আরো বলেন,আমরা উপকূলে বাস করি। জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে আমরা নানা ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি। আজ যদি আমরা সচেতন না হই এবং আমরা আমাদের ক্ষয়ক্ষতি বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে না পারি তাহলে ভবিষ্যতে আমরা ভয়াবহ বিপদের মধ্যে পড়ব। এজন্য সকলকে এই আন্দোলনের সাথে একাত্বতা ঘোষণা করার আহবান জানাচ্ছি।
বক্তারা দাবী তুলে ধরে বলেন, সাতক্ষীরা, খুলনা ও বাগেরহাট জেলাকে জলবায়ু ঝুঁকিপুর্ণ বা দুর্যোগ ঝুঁকিপুর্ণ এলাকা ঘোষণা করতে হবে, ২. দক্ষিণ-পশ্চিম উপক‚লীয় অঞ্চলকে রক্ষার জন্য বিশেষ পরিকল্পনা প্রণয়ন ও ২৩-২৪ অর্থ বছরে বাজেটে বিশেষ বরাদ্ধ দিতে হবে,৩.উপকুলীয় এলাকায় একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের আদলে একটি বাড়ি একটি শেল্টার কার্যক্রম শুরু করতে হবে, ৪. জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগকে মাথায় রেখে স্থায়ী ও মজবুত বেড়িবাঁধ পুন:নির্মান করতে হবে, ৫. উপক‚লীয় সকল মানুষের খাবার পানির টেকসই ও স্থায়ী সমাধান করতে হবে, ৬. উপকূল উন্নয়ন বোর্ড গঠন করতে হবে, ৭. দ্রুততার সাথে ভঙ্গুর ¯স্লুইসগেটগুলো মেরামত করতে হবে, ৮. জনসংখ্যার অনুপাতে পর্যাপ্ত সাইক্লোন শেল্টার সহ প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে, ৯. ঝড়-ঝঞ্ঝা, নদীভাঙ্গন ও ভূমিক্ষয় ঠেকাতে উপকূল, দ্বীপ ও চরাঞ্চলে ব্যাপকহারে বৃক্ষরোপন কর্মসূচি গ্রহণ এবং প্যারাবন বা সবুজ বেষ্টনী গড়ে তুলতে হবে, ১০. উপকুলের রক্ষাকবচ সুন্দরবন রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে,১১.উপকূলে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।