বুড়িগোয়ালিনী ষ্টেশন কর্মকর্তার সহযোগিতায় চলছে সুন্দরবনের কাঁকড়া আহরণ, কর্তৃপক্ষ নীরব

প্রকাশিত: ৮:১৯ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ২৯, ২০২৩


এম কামরুজ্জামান, শ্যামনগর সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ

সাতক্ষীরা’র শ্যামনগরে বুড়িগোয়ালিনী স্টেশন কর্মকর্তা নূরুল আলম কতিপয় দালালদের মাধ্যমে সুন্দরবনের মায়াবি হরিন,মূল্যবান কাট নিধন ও সুন্দরবনের জীব বৈচিত্র ধ্বংসলীলায় মেতে উঠেছেন। প্রতি বছরের ন্যায় জানুয়ারি ফেব্রুয়ারি মাসে সুন্দরবনে কাকড়া আহরণ সরকারি ভাবে বন্ধ থাকে,করণ এ সময় কাকড়া প্রজনন ঘটিয়ে থাকে। এ ২ মাস সুন্দরবনে কাঁকড়া আহরণের পারমিট বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়া সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের কয়েকটি খাল সরকারিভাবে মাছ কাঁকড়া প্রজনন এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। উক্ত খাল গুলিতে মাছ কাকড়া আহরণ তো দূরের কথা ছেলেদের নৌকা প্রবেশ করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। অথচ বুড়িগোয়ালিনী স্টেশন কর্মকর্তা ওই সমস্ত দালালদের মাধ্যমে প্রতি গোনে (১৫) দিনে নৌকা প্রতি মোটা অংকের টাকা নিয়ে মাছ কাকড়া আহরণের সুযোগ দিচ্ছেন। জেলেদের কাছে স্টেশন কর্মকতার পক্ষ থেকে একটা সংকেত চিহ্ন দেওয়া থাকে, যাহা দেখে বন টহল ফাড়ির সদস্যরা বুঝতে পারে । প্রতিটি স্টেশন থেকে মাছ আহরণের যে সমস্ত পারমিট দেওয়া হচ্ছে,উক্ত পারমিটে সিল মারা থাকে যে এ সমস্ত খালে প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। অথচ উৎকোচের বিনিময়ে জেলেরা এ সমস্ত খালে অবাদে প্রবেশ করার সুযোগ পাচ্ছে। ২৮ জানুয়ারী (শনিবার)সকালে কলবাড়ী বাজার থেকে ছবিটি ক্যামেরা বন্দি করার সময় ভ্যান ওয়ালাকে জিজ্ঞিসা করলে তিনি বলেন কাকড়া গুলো নীলডুমর আলাউদ্দিন মার্কেট থেকে আমার ভ্যানে উঠিয়ে দিয়ে কলবাড়ি বাজারে আনার কথা বলেছে। একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, উক্ত টাকা সুন্দরবনের ভিতরে বন টহল ফাড়ির সদস্যরা সহ রেঞ্জ অফিসে ভাগ পেয়ে থাকেন। এ বিষয়ে বুড়িগোয়ালিনী স্টেশন কর্মকর্তা নুরুল আমিনের মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করেন। সাতক্ষীরা সহকারী বন সংরক্ষক মহোদয়ের মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগ করলেও ফোনটি রিসিভ না হওয়ায় কথা বলা সম্ভব হয়নি । এ বিষয়ে বন বিভাগের সি সি এফ, সি এফ সহ বিভাগীয় বন কর্মকর্তাদের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন শ্যামনগরের সুধীজন।।