বড়াইগ্রামে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধুর আত্মহত্যা। 

প্রকাশিত: ৪:২৩ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৩, ২০২২

বড়াইগ্রামে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধুর আত্মহত্যা।       বিশেষ প্রতিনিধি।                                        নাটোরের বড়াইগ্রামের বনপাড়া পৌরসভার  মহিষভাঙ্গা গ্রামের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধু আখি বেগম(২০) গলায় ওড়না পেঁচিয়ে নিজ শয়ণ কক্ষের ঘরের তিরের সাথে বাঁধিয়া ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। আখির পিতার নাম আরমান আলী গ্রাম মহিষভাঙ্গা দক্ষিণপাড়া। স্বামীর নাম আশিক পেশায় একজন রাজমিস্ত্রী । শুক্রবার রাএী ৯টার দিকে সংবাদ পাইয়া পুলিশ গিয়ে স্হানীয়দের সহায়তায় বাড়ির গেট ভেঙ্গে শয়ণ কক্ষ হতে ঝুলন্ত অবস্হায় মৃত আখির লাশ উদ্ধার করে। ঘটনারস্হলে গেলে স্হানীয়রা জানায়,আশিক একজন রাজমিস্ত্রী সম্পর্কে আখি ও আশিক খালাতো ভাইবোন আখি ৩মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল। আশিকের মা বাবা বেঁচে নাই খালার কাছে থেকে বড় হয়েছে ও মহিষভাঙ্গা বসবাস করেন। প্রতিদিনের ন‍্যায় সকালে উঠে আশিক কাজে চলে যায়  আখির মাও তার আরেক মেয়ে বাড়ি রামাগাড়িতে বেড়াতে যায়। আশিক কাজে থেকে এসে সন্ধ্যার পর বাড়ি এসে দেখে গেট বন্ধ ডাকাডাকি করে কোন সারা শব্দ নাই জানালা দিয়ে উকি দিয়ে দেখে আখি চালের সাথে লাগানো তিরের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় আছে। তখন কান্নাকাটি শুরু করলে চারিদিক থেকে লোকজন এসে পুলিশকে খবর দেয়। বনপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এস আই আঃ বারী গিয়ে স্হানীয়দের সহায়তায় গেট ভেঙ্গে শয়ণ কক্ষে প্রবেশ করে ঝুলন্ত অবস্থায় ফাঁস দিয়া মৃত আখির লাশ উদ্ধার করে। এবং সরতহাল করে ময়না তদন্তের করার কথা বলেন,সেই সময় তদন্ত কেন্দ্রের অফিসার ইনর্চাজ রাশিদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। বনপাড়া তদন্ত কেন্দ্রের অফিসার ইনর্চাজ রাশিদুল ইসলাম ঘটনার সত‍্যতা স্বীকার করেন এবং বলেন, আমি মৃতের আত্মীয়-স্বজনদের বড়াইগ্রাম থানায় গিয়ে যোগাযোগ করে এই বিষয়ে নিয়ে আলোচনা করে ব‍্যবস্হা নেওয়ার কথা বলছি।