বড়াইগ্রামে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে অপপ্রচার, ১ কোটি টাকার মানহানী ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অভিযোগ

প্রকাশিত: ৯:১৯ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ১৩, ২০২২

বড়াইগ্রামে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে অপপ্রচার, ১ কোটি টাকার মানহানী ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অভিযোগ

নিজস্ব  প্রতিনিধি।

নাটোরের বড়াইগ্রামে আনছার-ভিডিপি ক্লাবের গাছ কাটা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা ও বানোয়াট অপপ্রচার করায় ৩ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন স্থানীয় এক সাংবাদিক। এ ব্যাপারে ৩ জনের নাম উল্লেখ করে ও পাশাপাশি ১ কোটি টাকার মানহানি হয়েছে বলে দাবি করে তথ্য প্রযুক্তি ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এজাহার দায়ের করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে ও শনিবার সকালে পৃথক দুইটি অভিযোগ দায়ের করেন বড়াইগ্রাম কেন্দ্রীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও হারোয়া আনছার-ভিডিপি ক্লাবের সভাপতি পিকেএম আব্দুল বারী।

এ বিষয়ে সাংবাদিক আব্দুল বারী জানান, হারোয়া আনছার-ভিডিপি ক্লাবের উন্নয়নের জন্য বন বিভাগ থেকে ৪টি মেহগনি গাছ অনুদান হিসেবে তিনি চেয়ে রাখেন। এরপর তিনি রেজুলেশন করে দুইটি বিক্রি করেন। এর মধ্যে বাকী দুইটি ভালো দাম না হওয়ায় বিক্রি না করে রেখে দেন। পরবর্তীতে পেশাগত কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়লে গাছ বিক্রি বিলম্ব হয়। এতে কারণ জানতে চাইলে ওই সদস্যদের সাথে বাক-বিতন্ডা হয়। তারই জের ধরে কয়েকজন সদস্য আনছার-ভিডিপি ক্লাবের সভাপতি আব্দুল বারী ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল খালেককে গাছ চুরি করে বিক্রি করা হয়েছে মর্মে আপবাদ দিয়ে থানায় অভিযোগ করেন। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, আনছার-ভিডিপি কার্যালয়, বড়াইগ্রাম থানা, বন বিভাগ সহ ৭ দপ্তরে অভিযোগ করেন প্রতিপক্ষরা। পরে ওই দপ্তরগুলোর পক্ষ থেকে তদন্ত করা হয় এবং গাছ চুরি করে বিক্রি করার সত্যতা খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে প্রতিপক্ষরা আরও বেশী প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে শুক্রবার বিকেলে ৩ জন স্থানীয় সাংবাদিক ডেকে ক্লাবের ৩ জন সদস্যসহ কয়েকজন শিশু-কিশোরকে নিয়ে এ ব্যাপারে মানববন্ধন করেন। যেখানে সাংবাদিক আব্দুল বারীর ছবি ব্যবহার করে আপত্তিকর ও মানহানীকর বক্তব্য রাখেন ক্লাবের বহিরাগত স্থানীয় যুবক মামুন চৌধুরী। সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করেন বড়াইগ্রাম নিউজ নামে ফেসবুক আইডি থেকে। পরে ওই আইডি’র এডমিনের বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি আইনে অভিযোগ দায়ের করা হয়। এ ছাড়া মামুন চৌধুরী ও রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এবং উল্লেখিত ৩ জনের বিরুদ্ধে ১ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ দাবি করে মানহানী এজাহার দায়ের করেন।

বড়াইগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ আবু সিদ্দিক জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর এ ব্যাপারে তদন্ত শুরু করা হয়েছে এবং ইতোমধ্যে ওই ফেসবুকের এডমিন ভিডিওটি মুছে দিয়েছেন। তিনি আরও জানান, অভিযোগটির ভিত্তিতে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।