বড়াইগ্রামে স্ত্রী হিসাবে স্বীকৃতি ও ভরণ পোষণ দাবিতে এক সন্তানের জননীর অনশন।

প্রকাশিত: ৭:৫৮ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২২

বড়াইগ্রামে স্ত্রী হিসাবে স্বীকৃতি ও ভরণ পোষণ দাবিতে এক সন্তানের জননীর অনশন।

নিজস্ব প্রতিনিধি। নাটোরের বড়াইগ্রামের মাঝগাঁও ইউনিয়নের মাধাইমুরি গ্রামে স্ত্রী স্বীকৃতির ও ভরণ পোষণের দাবিতে কথিত স্বামী ফারুকের বাড়িতে অনশন করছেন রাশেদা বেগম নামে এক সন্তানের জননী।

 

বুধবার সকাল ৬টা হতে ফারুকের বাড়িতে অনশন শুরু করেন ওই নারী।

 

 

ফারুক হোসেন মাধাইমুরি গ্রামের মৃত নবীর উদ্দিন মোল্লা ছেলে।ফারুকের প্রথম স্ত্রী ঘরে তিন সন্তান রয়েছে ফারুক একজন দুষ্ট প্রকৃতির লোক ও সুদ ব‍্যবসায়ী।

 

 

স্থানীয়রা জানান, ফারুক হোসেন রাশেদা বেগমের সাথে প্রায় দীর্ঘ ৬ বছর আগে বিয়ে করেছে। বিয়ের বিষয়টি প্রথমে গোপন ছিল এলাকায় জানাজানি হলে সামাজিক ভাবে ফারুকের উপর চাপ দেয় তখন বিয়ের বিষয় স্বীকার করে সমাজের নিয়ম অনুযায়ী ২হাজার টাকা প্রদান করেন। বিয়ের পর ওই নারী তার বাবার বাড়িতেই বসবাস করে আসছিল। ফারুক নিয়মিত এই মেয়ের বাবার বাড়িতে যাতায়াত করতো এবং যাবতীয় মাঠের কাজ করে নিত।জমির পাট কাটা থেকে ভেন্ডী জমির ভেন্ডী তুলে নিত। হাঠাৎ কর গত এক সপ্তাহ ধরে ফারুক ওই নারীর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। পরে ওই নারী বুধবার সকাল ৬টায় দিকে ফারুকের বাড়িতে যায় ফারুক তখন বিয়ের কথা অস্বীকার করে এবং ফারুক তার প্রথম স্ত্রী ও ছেলেসহ মারধর করে বাড়ি হতে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করে।তখন ওই মহিলা ফারুকের বাড়িতে অবস্থান করে।

 

স্থানীয় সামাজের প্রতিনিধি ও অনেকেই বলেন, তারা দুজন বিয়ে করেছে বলে সমাজের সবাই জানেন। গত তিন বছর আগে সমাজের আয়দায় হিসেবে ফারুক ২ হাজার টাকা খরচ দিয়েছিল।

 

অনশনরত রাশেদা বেগম জানান , আমার ৬ মাসের সন্তান গর্ভে রেখে প্রথম স্বামী মারা যায়। পরে ফারুক আমাক বিয়ে করতে চাইলে আমি রাজি হইনি। আমাকে ফোনে প্রায়ই বিরক্ত করত এবং বিয়ে না করল আমার সন্তানকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এক পর্যায়ে নিরুপায় হয়ে সম্পর্ক করতে বাধ‍‍্য হই। পরে ৬ বছর আগে আমাকে নাটোরে শহরে নিয়ে গিয়ে অপরিচিত জায়গা এক হুজুর ডেকে বিয়ে করে । বিয়ের পর তার বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কথা বললেই নানা তালবাহানা করত। গত এক সপ্তাহ ধরে আমার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় সে। পরে আমি বাধ্য হয়ে তার বাড়িতে বুধবার সকালে যাই। তখন সে আমাকে বিয়ের বিষয় অস্বীকার করে এবং বাড়ির সবাই মিলে আমাক মারধর করে তখন আমি ওই বাড়িতে অবস্থান করি ও অনশন শুরু করি। আমাকে স্ত্রীর স্বীকৃতি ভরণ পোষণ না দেয়া পর্যন্ত ও বিয়ে রেজিষ্টেশন না করা পযর্ন্ত  অনশন চালিয়ে যাবো।                          ফারুক হোসেন বলেন, আমি সকালে রাগ করে বলেছি আমি বিয়ে করিনি আসলে আমি বিয়ে করেছি এবং তার ভোরণ পোষণ আমি দিব আর রেজিষ্টেশন করতে এক সপ্তাহ সময় দিতে হবে।কিন্তু মেয়ে এই বিষয় মেনে নেয়নি।                          বিকালে সংবাদ পেয়ে স্হানীয় মেম্বার আব্দুল জব্বার গিয়ে এই বিষয় মিমাংসার চেষ্টা করে সমাধান করতে পারেনি। পরে মেয়ে ভাই ৯৯৯ কল করে পুলিশকে জানায় সন্ধ্যায় পুলিশ গিয়ে ফারুকে বাড়িতে না পেয়ে মেয়েটি নিরাপত্তার জন‍্য তার বাবার বাড়িতে রেখে আসে।