ভারতের ভ্যারিয়েন্ট কেন এত বিপজ্জনক??

প্রকাশিত: ১২:২১ অপরাহ্ণ, মে ১২, ২০২১

করোনা সংক্রমণে ভারত বিপর্যস্ত। ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট কোনভাবেই নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। প্রতিদিন বেড়েই চলেছে সংক্রমণের সংখ্যা। ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট কেন বিপজ্জনক? কারণ ভারতের ভ্যারিয়েন্টটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এই ভ্যারিয়েন্টে একজন থেকে ৪০০ জন পর্যন্ত মানুষ আক্রান্ত হতে পারে। দেশে এই ভ্যারিয়েন্টটি ছড়িয়ে পড়লে তা সামাল দেয়া অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়বে। এ অবস্থায় ভ্যাকসিন নেয়া, প্রয়োজনে দু’টি মাস্ক পড়া, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ সকল ধরণের স্বাস্থ্যবিধি অবশ্যই মেনে চলতে হবে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, দেশে ভারতের মিউটেন্ট ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়লে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। সেজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুসারে এ বছর ঈদে বাড়িতে না গিয়ে যে যেখানে আছেন সেখানেই ঈদ করুন। এমনকি বর্তমান পরিস্থিতিতে আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে দাওয়াত খেতে যাওয়াও ঠিক হবে না।

দেশে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ডোজের ভ্যাকসিন কার্যক্রম সম্পর্কে তিনি বলেন, ভ্যাকসিন পাওয়া নিয়ে হতাশার কারণ নাই। ইতোমধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই বিষয়ে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। শুধু ভারত নয়, পৃথিবীর যে দেশ থেকেই অক্সফোর্ড-এ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে সেখান থেকেই তা সংগ্রহ করা হবে। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে করোনা ভাইরাসের ভ্যারিয়েন্ট নির্ধারণে জেনোম সিকোয়েন্সিং করা হচ্ছে, এন্টিবডি পরীক্ষার ব্যবস্থা আছে। ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অক্সফোর্ড-এ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের সাফল্যের হার শতকরা ৯৮ শতাংশ।

করোনাভাইরাস যা শুধু ফুসফুস নয়, হার্ট, কিডনি, লিভার থেকে শুরু করে শরীরে সকল অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। তাই ভাইরাসটি প্রতিরোধ জরুরি। এজন্য মাস্ক পরা, হাত ধোয়া এবং সামাজিক দূরত্ব অবশ্যই মেনে চলতে হবে।