মণিরামপুরে পুলিশের লাথিতে শিশু আহত; ঘটনাটি মিথ্যা বলছে পুলিশ Showhardo Shuvo Showhardo Shuvo প্রকাশিত: ১১:০৮ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ১৪, ২০২১ যশোরের মণিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জের তদন্ত কেন্দ্রের এসআই লিটন নামের পুলিশের এক উপ-পরিদর্শকের লাথিতে কপাল কেটে গেছে মুজাহিদ রাব্বি নামে এক শিশুর। শিশুটির বয়স চার বছর। ঘটনাটি ঘটেছে গত শনিবার (১০ এপ্রিল) রাতে মণিরামপুর উপজেলার চালুয়াহাটি ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামে। শিশুর বাবার নাম আব্দুল খালেক। তিনি চালুয়াহাটি ইউনিয়নের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। বিষয়টি নিয়ে শিশুটির পরিবারের দাবি করছে, বাবাকে পুলিশের হাত থেকে বাঁচাতে যেয়ে তার কপালে লাথি লাগে। এদিকে পুলিশ দাবি করছে, শিশুটির বাবা শালিসে ঠকে যাওয়ায় নিজের ছেলেকে মেরে পুলিশের ওপর দায় চাপাচ্ছে। শিশুটির বাবা আব্দুল খালেক বলেন, ‘রসুলপুর গ্রামের ইব্রাহিম নামে এক ব্যক্তির সাথে ১২.২৬ শতক জমি নিয়ে আদালতে মামলা চলছে। আমি ও ইব্রাহিম দুই জনেই মামলা করেছি। মামলায় হেরে যাবেন বুঝতে পেরে নতুন করে এই ঘটনায় রাজগঞ্জ ক্যাম্পে অভিযোগ করেন ইব্রাহিম। গত শনিবার ক্যাম্পের এসআই লিটন পুলিশ নিয়ে আমার বাড়িতে শালিস বসান। আমি বসতে না চাইলেও স্থানীয় চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদের উপস্থিতিতে তিনি জোর করেন। ওই শালিসে এসআই লিটন আমার ওপর চড়াও হন। আমিও ক্ষিপ্ত হই। একপর্যায়ে দারোগা লিটন পিস্তল বের করে আমাকে হাতকড়া পরাতে যান। তখন আমার চার বছরের ছেলে রাব্বি দারোগার দুই পা জড়িয়ে ধরে। এরপর দারোগা লিটন লাথি মারলে রাব্বির কপাল কেটে যায়। আমি দ্রুত ছেলেকে কেশবপুর হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করাই।’ এদিকে এসআই লিটন বলেন, ‘চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদের সভাপতিত্বে শালিসে ছিলাম। যে অভিযোগ উঠেছে, তা সত্যি নয়। এমন কিছু হয়নি।’ রাজগঞ্জ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক শাহজাহান আহমেদ বলেন, ‘একটা মিথ্যা ছবি ফেসবুকে ছেড়েছে। শালিসে হেরে গিয়ে জেতার জন্য আব্দুল খালেক নিজে ছেলেকে মেরে পুলিশের ওপর দোষ চাপাচ্ছেন।’ এছাড়া তিনি এই বিষয়ে চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন। SHARES যশোর কর্ণার বিষয়: