মোটর সাইকেল চোর চক্রের সন্ধান পেল যশোর পুলিশ

প্রকাশিত: ৫:২৯ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ১৮, ২০২১

ইদানিং যশোরে আশংকাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে মোটর সাইকেল চুরির ঘটনা। শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

এসময় ১০টি চোরাই মোটরসাইকেল, পুলিশের এক জোড়া হ্যান্ডক্যাপ ও ৬ টি চাবি উদ্ধার করা হয়েছে।

আটককৃতরা হলেন, সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার শংকরপুর গ্রামের জাব্বার আলীর ছেলে ইয়ার আলী (৩২), যশোরের শার্শা উপজেলার কাজীরবেড় গ্রামের আমিন হোসেনের ছেলে তৌহিদুল ইসলাম (৩১), ঝিকরগাছার রঘুনাথপুর ডাঙ্গী গ্রামের সলেমানের ছেলে নাজমুল ইসলাম (২১), সদর উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের মৃগাদক্ষিণ পাড়ার সিরাজুল ইসলামের ছেলে শরিফুল ওরফে সজল মোল্লা (২৭), কৃষ্ণনগর গ্রামের আব্দুল খালেক খানের ছেলে জাকির হোসেন (৩১) ও বাহাদুরপুর গ্রামের মৃত আব্দুল হাকিম মোল্লার ছেলে ইলিয়াছ মোল্লা (৪০)।

গোয়েন্দা পুলিশের ওসি সোমেন দাস বলেন, গত ১২ এপ্রিল (সোমবার) শার্শা থানায় চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধারের ঘটনায় চোর চক্রের প্রধান শফিসহ তিনজনকে আটক করা হয়। ঘটনা তদন্তে ডিবি পুলিশ চক্রের আরও কয়েকজন সদস্যের সন্ধান পায়। পরে অভিযান চালিয়ে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

তিনি আরও জানিয়েছেন, সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার খানপুর গ্রামের একটি মাছের ঘেরের পাশ থেকে একটি পালসার ব্র্যান্ডের মোটরসাইকেল চুরি করে ইয়ার আলী। শ্যামনগর থানায় কর্মরত একজন পুলিশ কর্মকর্তার ওই মোটরসাইকেলে ঝুলানো ব্যাগের মধ্যে পুলিশের মনোগ্রাম আঁকা একটি হ্যান্ডক্যাপ ছিল। মোটরসাইকেল চুরির সময় ব্যাগটিও চুরি করে নিয়ে যায় ইয়ার আলী। হ্যান্ডক্যাপটি তার কাছেই ছিল।

ওসি সোমেন দাস বলেন, এ অঞ্চলে যত মোটরসাইকেল চুরি হয় তার সিংহ ভাগ চুরি করে চক্রটি। নাভারণ বাজারের শফির গ্যারেজে নিয়ে যাওয়া হয় চুরি করা মোটরসাইকেল। পরে শফি সুযোগ বুঝে চোরাই মোটরসাইকেলগুলি দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠিয়ে দেয়। তার আগে সে মোটরসাইকেলের ভুয়া নম্বর, চ্যাসিজ নম্বর বসিয়ে দেয়। মাস্টার চাবিগুলো শফিই তৈরি করে দেয়। ওই চাবি দিয়ে চোরচক্রের সদস্যরা সুযোগ বুঝে মোটরসাইকেল চুরি করে।