মোবাইল ফোনে কথা বলায় বর্ধিত কর প্রত্যাহার হচ্ছে

প্রকাশিত: ৪:০৫ অপরাহ্ণ, জুন ২৮, ২০২০

মোবাইলে বর্ধিত কর নিয়ে কম সমালোচনা শুনতে হয়নি সরকারকে। অবশেষে জনমনে স্বস্তি ফিরছে খুব শীঘ্রই। প্রত্যাহার হতে যাচ্ছে মোবাইলে বর্ধিত কর।
নানা আলোচনা-সমালোচনার পর অবশেষে মোবাইল ফোনের ওপর বর্ধিত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের আভাস মিলেছে। বর্ধিত ৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার হলে মোবাইল ফোনে কথা বলা, খুদে বার্তা পাঠানো কিংবা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহারের ওপর গ্রাহককে এ পরিমাণ বাড়তি খরচ দিতে হবে না। অর্থ মন্ত্রণালয়ের বাজেট-সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ভ্যাট ও শুল্ক বিষয়ে আরো কিছু পরিবর্তন এনে আগামীকাল সোমবার পাশ হচ্ছে অর্থবিল। তবে বর্ধিত কর প্রত্যাহার করা হলেও বাজেট ঘোষণার পর থেকেই গ্রাহকের কাছ থেকে কেটে নেওয়া অর্থ ফেরত পাওয়ার সুযোগ থাকছে না। ঐ অর্থ সরকারের ঘরেই জমা দিতে হবে কোম্পানিগুলোকে।

অর্থমন্ত্রীর বাজেট ঘোষণার আগে মোবাইল ফোনে সেবা নেওয়ার ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ ভ্যাট (মূল্য সংযোজন কর) ছাড়াও ১০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক এবং ১ শতাংশ সারচার্জ (একধরনের মাশুল) ছিল। ফলে ১০০ টাকার সেবা নেওয়ার বিপরীতে গ্রাহককে বাড়তি সাড়ে ২৭ টাকা খরচ করতে হতো (শুল্ক-করের আপাতনসহ)। ১১ জুন বাজেট ঘোষণাকালে নতুন করে মোবাইল ফোন গ্রাহকের ওপর ফের ৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়। ফলে ১০০ টাকা সেবা নেওয়ার বিপরীতে গ্রাহককে গুনতে হয় বাড়তি ৩৩ টাকাসহ ১৩৩ টাকা। বাজেটে এ প্রস্তাব দেওয়ার পর থেকেই টাকা কেটে নেওয়া শুরু হয় দেশের কোটি কোটি মোবাইল ফোন গ্রাহকের কাছ থেকে। করোনার এই কঠিন সময়ে দেশের কোটি কোটি গ্রাহকের ওপর নতুন করে সম্পূরক শুল্ক আরোপের মাধ্যমে ব্যয় বাড়িয়ে দেওয়ায় সমালোচনা তৈরি হয়। এর পরই বর্ধিত এই কর প্রত্যাহারে সরকারের নীতিনির্ধারণী মহলে আলোচনা শুরু হয়।

মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলোর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দেশে বর্তমানে মোবাইল ফোনের সিমের সংখ্যা প্রায় ১৫ কোটি। এর মধ্যে সচল সিমের সংখ্যা প্রায় ১১ কোটি। গত বছর মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলো ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক মিলিয়ে সরকারের ঘরে জমা দিয়েছে প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা। এসব টাকা গ্রাহকের কাছ থেকেই আদায় করা হয়েছিল।