ননএমপিওভুক্ত ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি মেরামত নিয়ে দুশ্চিন্ত

যশোরের মালঞ্চী নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় আম্পানে লন্ডভন্ড

প্রকাশিত: ২:৪৭ অপরাহ্ণ, জুন ৩, ২০২০

 

সালমান হাসান রা‌জিব

স্কুলটি বেসরকারি। তারপর এমপিওভুক্তও না। ফলে শিক্ষকদের বিনা পারিশ্রমিকে পাঠদান করতে হয়। এমন পরিস্থিতিতে চারটি আধাপাকা টিনের চালার কক্ষে স্কুলের কার্যক্রম চলছিল। কিন্তু সর্বনাশা আম্পাণের তান্ডবে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে স্কুলটি। অফিস কক্ষের চালার সবটুকু উড়ে গেছে। শ্রেণি কক্ষ তিনটির চালার টিন উড়ে গেছে। যেটুকু ওড়েনি দুমড়ে মুচড়ে গেছে। আম্পানের হানায় যশোর সদরের মালঞ্চী নিন্মমা ধ্যমিক বিদ্যালয়টির অবকাঠামোর এখন এমনই জেরবার দশা। জানা গেছে, ঘূর্ণি ঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির অবস্থান সদরের মালঞ্চী দক্ষিণ পাড়ায়। এলাকার আশপাশে স্বল্প দূরত্বে কোন কোন স্কুল না থাকায় ২০০৩ সালে বিদ্যালয়টি গড়ে তোলেন স্থানীয়রা। এরপর থেকে এখানকার বাসিন্দাদের ছেলেমেয়েদের মধ্যে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে আসছে প্রতিষ্ঠানটি। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা দেড় শতাধিক। শিক্ষক ও কর্মচারী মিলিয়ে ৭ জন। তাদের ৫ শিক্ষক। ২ জন কর্মচারী। আর প্রতি বছরই জেএসসিতেও এখানকার ফলাফল ভালো হয়। ২০১৯ সালে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় এখানে পাসের হার ছিল ৯২ শতাংশ। বিদ্যালয় সূত্র জানায়, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেওয়া সামান্য বেতন দিয়ে স্কুলের কার্যক্রম চালানো হয়। এছাড়া বিদ্যোৎসাহী ব্যক্তিদের কিছু সহযোগিতা ছাড়া প্রতিষ্ঠানটির আর কোন আয়ের উৎস নেই। এমন পরিস্থিতিতে ঝড়ে স্কুলের আবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় ভবিষ্যতে পাঠদান নিয়ে শংকায় রয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তাদের দাবি, করোনার কারণে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আপাতত বন্ধ রয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিকতার দিকে গেলে তখন সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে। তখন সেমসয় ঝড়ে ভেঙে পড়া এই স্কুলে পাঠদান চালানো কঠিন হবে। কারণ দেয়াল থাকলেও চালা না থাকায় রোদে ও বৃষ্টিতে ভিজে শিক্ষার্থীদের কেউ ক্লাস করতে চাইবে না। আর সেটা করাও কখনো সম্ভব হবে না। ফলে এখানকার শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা অনিশ্চিয়তার মুখে পড়েছে।