যশোরব্র শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া গ্রামে এনজিও কর্মী পরিচয় দিয়ে সরকারি অনুদানের প্রলোভন দেখিয়ে এক নারীর ২৫ দিনের পুত্র সন্তান চুরির ঘটনা ঘটেছে। বুধবার দুপুর ১২টার দিকে বাগআঁচড়া বাজারের রিফাত হোটেলে ঘটনাটি ঘটে শার্শা উপজেলার। চুরি যাওয়ার শিশুর নাম তাসিন। শিশু তাসিনের মা জান্নাতুল বেগম উপজেলার কায়বা ইউনিয়নের রুদ্রপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি একই গ্রামের আশরাফুলের স্ত্রী।

হোটেলের সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজে দেখা যায় এক নারী ওই শিশুটি নিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু বোরখাপরা ও মুখ ঢাকা থাকায় তার পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। বিষয়টি শার্শা থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত ওই চোরকে শনাক্ত ও শিশুটিকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
এবিষয়ে বাগআঁচড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের অফিসার ইনচার্জ উত্তম কুমার জানান, ঘটনা তিনি শুনেছেন। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। ভিডিও ফুটেজে ওই নারীকে দেখা গেছে। শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করছে।

শিশুটির মা জান্নাতুল জানান, তাসিন গর্ভে থাকার সময় নাম ঠিকানা না জানা অজ্ঞাত এক মহিলা এনজিও কর্মী পরিচয় দিয়ে তাদের বাসায় গিয়ে গর্ভবতী কার্ড করে দিবে বলে প্রলোভন দেখায়। বাচ্চা ভূমিষ্ট হওয়ার পর আরো একদিন এসে একই কথা বলেন। ওই মহিলা বুধবার দুপুরে তাদের বাড়ি গিয়ে ৩০ হাজার টাকা দেবে বলে তাকে ও তাসিনের দাদা জোহর আলীকে বাগআঁচড়া বাজারে নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে উভয়ে নাস্তা করার জন্য বাগআঁচড়া বাজারের শংকরপুর সড়কে রিফাত নামের একটি হোটেলে নিয়ে যায়। শিশুটিকে কোলে নিয়ে তাদের দু‘জনকে হাত ধুয়ে আসার জন্য পাঠায়। এই সুযোগে মহিলাটি বাচ্চাকে নিয়ে পালিয়ে যায়। বেশ কিছুক্ষণ পার হলেও হোটেলের চারপাশ এবং মেইন সড়কগুলো খুঁজেও সন্তান ও ওই নারীকে পাওয়া যায়নি।

তাদের বহনকারী ভ্যানচালক হাকিম বলেন, মহিলাটি কলারোয়া থানার গয়ড়া বাজার থেকে তাকে ভাড়া করে নিয়ে আসে। প্রথমে তাকে রুদ্রপুর গ্রামের জোহর আলীর বাড়িতে এরপর সবাইকে নিয়ে বাগআঁচড়া বাজারে যায়। তবে সে ওই মহিলাকে চেনে না। তার গায়ে কফি কালারের বোরখা ও পেস্ট কালারের ওড়না ছিলো।