যশোরে মানুষের মাঝে স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো আগ্রহ নেই, মাস্ক ছাড়াই যে যার মতো চলাচল করছে,

প্রকাশিত: ১১:৫৮ পূর্বাহ্ণ, জুন ১৫, ২০২১

হঠাৎ করে যশোর সীমান্তবর্তী বেনাপোল পোর্ট থানা ও শার্শা উপজেলায় করোনা উপসর্গের রোগী বেড়ে গেছে। এসব রোগীদের জ্বর নিয়ে ভীতি থাকলেও করোনা পরীক্ষায় তেমন আগ্রহ নেই। আবার অনেকে তো করোনা উপসর্গ নিয়ে রাস্তাঘাট, হাটবাজার ঘুরে বেড়াচ্ছে।

গ্রামের চিকিৎসক, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এসব উপসর্গের কথা নিশ্চিত করেছে।

করোনা মহামারির এই সময়ে সর্দি-কাশি ও জ্বর দেখা দিলে অবহেলা না করে সাবধানতা অবলম্বন করা এবং হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।

এদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ইউসুফ আলি জানান, সোমবার শার্শা উপজেলায় ১১ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত উপজেলায় ৪৫১ জন করোনা রোগী পাওয়া গেছে, যাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।

এরপরও অনীহার কারণে সাধারণ মানুষকে ব্যাপকভাবে টেস্টের আওতায় আনা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান এই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।

জ্বর ও সর্দি-কাশি নিয়ে অনেক মানুষ আসছেন বলে জানান বাগআঁচড়া জোহরা মেডিকেল সেন্টারের পরিচালক ডা. হাবিবুর রহমান হাবিব।

তিনি বলেন, আমাদের কাছে করোনাভাইরাস চিহ্নিতকরণের কিট না থাকায় সর্দি, জ্বর বা গলা ব্যথার উপসর্গ নিয়ে আসা সন্দেহজনক রোগীদের শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও যশোর সদর হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি।

এদিকে ফার্মেসিতে সর্দি-কাশি ও জ্বরের ওষুধ বিক্রি বেড়ে গেছে জানিয়ে বেনাপোল ক্যামিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির সাধারণ সম্পাদক বজলুর রহমান বলেন, এখন বেনাপোলে বেশির ভাগ বাড়িতেই কেউ না কেউ জ্বর-কাশিতে আক্রান্ত। তাদের বেশির ভাগই বিভিন্ন ফার্মেসি থেকে উপসর্গের কথা বলে ওষুধ কিনে খাচ্ছেন। আবার কেউ কেউ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কিংবা বেসরকারি হাসপাতালে গিয়েও চিকিৎসা নিচ্ছেন।

বেনাপোল বাজারের গ্রাম্য ডাক্তার মো. মিন্টু বলেন, এখন যেসব রোগী পাচ্ছি তার বেশিরভাগই জ্বর ও সর্দি-কাশির। অনেকের জ্বর ৮-১০ দিনও থাকছে। জ্বর না কমায় তাদের পরীক্ষার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছি।

যশোরের শার্শা উপজেলায় ১০২ কিলোমিটার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত রয়েছে। ভারতের করোনা ভেরিয়েন্ট ঠেকাতে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও জনপ্রতিনিধিরা কঠোর অবস্থানে থাকলেও মাঠ পর্যায়ে তার কোনো প্রভাব নেই। আর বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখা গেছে, করোনা উপসর্গ নিয়ে সাধারণ মানুষ রাস্তাঘাট, হাটবাজারে ঘুরে বেড়াচ্ছে।