যশোরে লকডাউন না দেওয়ার সিদ্ধান্ত; মাস্ক পরা ও টেস্ট বাড়ানোর উপর জোর

প্রকাশিত: ৮:৪০ পূর্বাহ্ণ, জুন ৪, ২০২১

যশোরে আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে করোনা রোগী। তা সত্ত্বেও মানুষের মধ্যে নেই স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রবণতা। করোনা নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর যশোর জেলাকে লকডাউনের আওতায় আনারও প্রস্তাব দেয়। কিন্তু লকডাউন না দিয়ে মাস্ক পরা ও পরীক্ষা বৃদ্ধি করার দিকে জোর দিয়েছেন যশোর জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটি।

বৃহস্পতিবার দুপুরে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিয়ের সময় একথা জানান করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি যশোর জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান।

মতবিনিময় সভায় যশোরের জেলা জেলা প্রশাসক (ডিসি) তমিজুল ইসলাম খান বলেন, লকডাউন নয়, বাধ্যতামূলক মাস্ক পরা ও করোনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। জেলায় করোনা সংক্রমণ একটু বৃদ্ধি পেয়েছে ঠিকই কিন্তু তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে নয়। যশোরে করোনা প্রতিরোধ কমিটি প্রতিনিয়ত এসব বিষয়ে আলোচনা করছে। করোনা নিয়ন্ত্রণে যেসব স্বাস্থ্যবিধি আরোপিত আছে তা আরো কঠোরভাবে প্রয়োগ করা হচ্ছে। পরিস্থিতি আরো পর্যবেক্ষণ করে প্রয়োজন হলে লকডাউনের মতো কঠোর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, গত ২৬ এপ্রিল ছয়জন বাংলাদেশি যাত্রী বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করলে জেলা প্রশাসন তাদের গ্রহণ করে। ২ জুন (বুধবার) পর্যন্ত বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে চার হাজার ৩৭১ জন প্রবেশ করেছেন। ভারতফেরত যাত্রীদের কোয়ারেন্টাইনে জরুরি পদক্ষেপ হিসেবে বেনাপোল এলাকায় ১৩টি হোটেল, ঝিকরগাছা উপজেলার গাজীর দরগাহ মাদরাসা হোস্টেল ও যশোরের ১৯টি হোটেল নির্ধারণ করা হয়। এছাড়াও শেখ হাসিনা আইটি পার্ক, এফপিএবির হোস্টেলসহ মোট ২০টি স্থান কোয়ারেন্টাইনের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক হুসাইন শওকত, সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী সায়েমুজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রফিকুল হাসান, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন ও যশোর প্রেস ক্লাব সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন প্রমুখ।