যশোর পৌরসভা দেনায় ভরপুর; জ্বালানি তেলের দেনায় ৭২ লাখ টাকা

প্রকাশিত: ৮:৩৩ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ২২, ২০২১

কিছুদিন আগেই নব-নির্বাচিত মেয়র হায়দার গনি খান পলাশ যশোর পৌরসভার ৯১ কোটি টাকা দেনার কথা জানা। তার কিছুদিন পরেই জানা যায় যশোর পৌরসভার ব্যবহৃত গাড়ির তেল ক্রয় বাবদ প্রায় ৭২ লাখ টাকা বকেয়া থাকার কথা। জ্বালানি তেল পরিবেশক প্রতিষ্ঠান মেসার্স মনিরউদ্দিন ওই বিশাল অঙ্কের টাকা পৌরসভার কাছে পাবে। বকেয়া পরিশোধ হয় না বলে মাঝে মাঝে পাম্প কর্তৃপক্ষ তেল সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। তখন কিছু শোধ করার পর আবার তেল নেয় পৌরসভা।

পৌর দফতর থেকে জানা যায়, যশোর পৌরসভায় ১৩টি ময়লাবাহী গাড়ি, ১টি এক্সেভেটর ও ৩টি জিপ গাড়িতে তেল ব্যবহৃত হয়। দীর্ঘদিন ধরে মেসার্স মনির উদ্দিন ফিলিং স্টেশনের সঙ্গে পৌরসভার চুক্তি রয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী ফিলিং স্টেশন জ্বালানি সরবরাহ অব্যাহত রাখলেও সময়মতো বিল পরিশোধ করে না পৌরসভা।

সূত্র জানায়, সদ্য বিদায়ী মেয়র জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টুর দায়িত্ব হস্তান্তরের আগ পর্যন্ত জ্বালানি তেলের বিল বকেয়া ছিল ৭১ লাখ ৯৯ হাজার ৫৯৫ টাকা।

পৌরসভার গাড়ি বহর সংরক্ষণসহ সংশ্লিষ্ট দায়িত্বে নিয়োজিতদের একজন উপসহকারী প্রকৌশলী কামাল হোসেন অবশ্য দাবি করেন, সদ্য বিদায়ী মেয়রের আমলে বকেয়া ৩৫ লাখ ৯৩ হাজার ৮১৩ টাকা এবং এর আগের মেয়রদের আমলের বকেয়া ৩৬ লাখ ৫ হাজার ৭৮২ টাকা।

এ ব্যাপারে নবনির্বাচিত মেয়র হায়দার গণি খান পলাশ বলেন, জ্বালানি তেলের বকেয়া প্রায় ৭২ লাখ টাকার কথা আমি জানি।

তিনি আরো বলেন, ৯১ কোটি টাকা দেনা মাথায় নিয়ে দায়িত্ব নিয়েছি। আমি চেষ্টা করব রাজস্ব আয় থেকে ঋণ শোধের, সরকারের কাছ থেকে কোনো রকম বরাদ্দ এনে দেনা কমানোর। এমনকি প্রয়োজনে অস্থায়ী কর্মী কিছু ছাঁটাই হতে পারে।