য‌শো‌রের ‘দাফন‌যোদ্ধা’ 

প্রকাশিত: ১২:১৩ অপরাহ্ণ, মে ২৬, ২০২০

‌ আত‌ঙ্কের ম‌ধ্যে আছে গোটা দেশ। করোনায় মৃত্যু মানুষের মধ্যে ভীতি ছড়িয়েছে। ভয়ের আধারে ডুবে আছে চারাপাশ। ত্রাসের রাজত্ব করছে অদৃশ্য ‘জীবাণু সন্ত্রাসী’ করোনা। করোনায় না হলেও এটির উপসর্গ জ্বর সর্দি কাশি নিয়ে কেউ মারা গেলেও বিপদ। মরদেহ দাফনের জন্য কেউ এগিয়ে আসছে না। সংক্রমিত হওয়ার ভয়ে আপজনও মৃতদেহ স্পর্শ করছে না। এমন পরিস্থিতিতে মরদেহ সমাহিত করার জন্য যশোরে শহরের পুরাতন কসবায় ১৫ জনের একটি দল গঠন হয়েছে। দলটি করোনাভাইরাসে মৃত্যুসহ অন্যান্য রোগে মৃত্যু হলে দাফন কাজ করবেন। জানা গেছে, করোনা সংকটের এই মুহুর্তে মৃত মানুষের দাফন সম্পন্নের জন্য এমন সাহসী উদ্যোগ নিয়েছেন যুবলীগ নেতা শফিকুল ইসলাম জুয়েল। শুধু তাই নয়; করোনা পরিস্থিতির শুরুর থেকেই মানুষের পাশে আছেন তিনি। তখন থেকেই পকেটের টাকায় কর্মহীন মানুষের বাড়িতে খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন। জানা যায়, করোনা বা অন্য কোন কারণে যশোর জেলার কোথাও কেউ মারা গেলে মৃতের গোসল এবং দাফনের কাজে স্বেচ্ছায় অংশ নেওয়ার সার্বিক প্রস্তুতি রেখেছে দলটি। দাফনকার্যে লোক পাওয়া যাচ্ছে না, এমন পরিস্থিতিতে তাদের জানানো হলে অংশ নেবেন তারা। খবর পাওয়া মাত্রই সেখানে পৌঁছে যাবে ‘দাফন’ যোদ্ধার দলটি। এজন্য ১০ জন পুরুষ ও ৫ জন নারীর টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। মরদেহ বহনের জন্য আছে একটি পিকআপও। করোনায় আক্রান্তের মরদেহের দাফনের ঝুঁকিপূর্ণ। দাফনকারীও সংক্রমণের ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারেন। এক্ষেত্রে স্বাস্থ্যসুরক্ষার প্রশ্ন রয়েছে। এই বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি জানান, স্বেচ্ছায় মরদেহ সমাহিত করা ব্যাপারে যশোরের জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রশাসন থেকে অনুমতি দিলে দাফন কাজে তার দল অংশ নেবে। প্রয়োজনে মৃতদেহ দাফনের জন্য প্রশাসনের গঠন করা টিমের সাথেও কাজ করতে তারা আগ্রহী। শফিকুল ইসলাম জুয়েল। যশোর শহরের পুরাতন কসবা বিবি রোড (আমবাগান) এলাকার বাসিন্দা। রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। বাবা মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম টুকু। মা জাহানারা বেগম। জরিনা নামে এ অঞ্চলের সবার কাছে এক নামে পরিচিত ছিলেন। পৌরসভার কাউন্সিলর ছিলেন। বড়বোন নাসিমা আকতার জলিও বর্তমানে পৌরসভার নারী কাউন্সিলর।