রেকর্ড ৪৭ আক্রান্তের মধ্য দিয়ে যশোরে করোনার সংক্রমন ৪০০ ছাড়াল News Publisher News Publisher প্রকাশিত: ৮:৫২ অপরাহ্ণ, জুন ২৪, ২০২০ নিজস্ব প্রতিবেদক যশোরে এক দিনে রেকর্ড সংখ্যক ৪৭ করোনা পজিটিভ সনাক্তের মধ্য দিয়ে সংক্রমিত সংখ্যা ৪০০ ছাড়াল। বুধবার যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে পরীক্ষা করা যশোরের ১৪১টি নমুনার মধ্যে ৪৭টি পজিটিভ হয়। যেটি যশোরে এখন পর্যন্ত সংক্রমণের সর্বোচ্চ রেকর্ড। ফলে গেল ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আক্রান্তসহ মোট সংক্রমিত ৪০০ ছাড়িয়ে গেল। এদিকে যশোরে করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে একজন গতকাল ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এনিয়ে যশোরে করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ২। পাশাপাশি সুস্থ্য হয়েছে ১৬০। এদিকে যশোর পৌর এলাকায়ও সংক্রমন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। শহরের মধ্যে পৌর এলাকার এক নম্বর ওয়ার্ডের বারান্দী পাড়ায় সবচে বেশি সংক্রমন ছড়াচ্ছে। এলাকাটি ভাইরাস সংক্রমণের হটস্পট হয়ে উঠছে। গতকাল বুধবার এই এলাকার ৫জন কোডিভ-১৯ আক্রান্ত হয়েছে। যবিপ্রবি জিনোম সেন্টারের করোনা পরীক্ষণ দলের সদস্য ড. নিগার সুলতানা জানান, মঙ্গলবার ৩৪৮ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়। এর মধ্যে ১০৯ জনের পজেটিভ এবং ২৩৯ জনের নেগেটিভ ফল আসে। বুধবার সকালে এই ফল সংশ্লিষ্ট জেলার সিভিল সার্জনদের জানিয়ে দেওয়া হয়। প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়, যশোরের ১৪১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে এদিন ৪৯ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। এর মধ্যে নতুন নমুনা ৪৬টি; বাকি তিনটি ফলোআপ। এর আগে মঙ্গলবার রাতে খুলনা মেডিকেল কলেজ থেকে আসা রিপোর্টে যশোর জেলার একটি নমুনাকে পজেটিভ বলে শনাক্ত করা হয়। সেটিও ছিল নতুন নমুনা। ফলে জেলায় গেল ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্তের মোট সংখ্যা ৪৭-এ দাঁড়ালো। এছাড়া এদিন যবিপ্রবি জেনোম সেন্টারে মাগুরার ২১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ছয়জনের, নড়াইলের ১১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে দুইজনের, ঝিনাইদহের ৪৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৭ জনের, বাগেরহাটের ১০৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২৯ জনের এবং সাতক্ষীরার ২৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ছয়জনের নমুনা পজেটিভ পাওয়া যায়। যশোরের সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন বলেন, গেল ২৪ ঘণ্টায় যবিপ্রবি জেনোম সেন্টারে নতুন শনাক্ত ৪৬ জন ছাড়াও খুলনা মেডিকেল কলেজের ল্যাবে আরেকজনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে এই জেলায় আক্রান্ত বলে শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা হলো ৪১১। আক্রান্তদের মধ্যে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, ব্যাংকার, সেবিকা, স্বাস্থ্যকর্মী, গৃহিণী, ব্যবসায়ী ও শিক্ষার্থী আছেন। আক্রান্তরা হলেন, যশোর শহরের বাড়ান্দিপাড়া এলাকার বাসিন্দা নাসির উদ্দিন রুমি(৫০), একই এলাকার রেহান হোসেন(২২), সদর উপজেলার বাসিন্দা সজন পাল(৪৯), মিতা পাল(৩৫),নাজমুল হোসেন(২৫), শহরের জেল রোড এলাকার বাসিন্দা আব্দুল হান্নান(৩৮), বেজপাড়া এলাকার বাসিন্দা মাধুরি(৫৫), একই এলাকার শরিফুল ইসলাম(৪৫), পশ্চিম বাড়ান্দি পাড়া এলাকার বাসিন্দ আলাউদ্দিন(৬৫), শহরের ঘোপ সেন্ট্রাল রোড এলাকার বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম(৩৭), আরবপুর এলাকার বাসিন্দা ও যশোর ২৫০শয্যা জেনারেল হাসপাতালের সেবিকা বাসন্তি রানি বিশ্বাস(৫৫), চাচড়া ডালমিল এলাকার বাসিন্দা হোসেন আলী(৬৫), সদর উপজেলার চুড়ামনকাঠি এলাকার বাসিন্দা আব্দুর রহমান(৬২), শহরের বাড়ান্দি পাড়া এলাকার বাসিন্দা প্রণয় রায়(১৯), উপশহর বি ব্লক এলাকার বাসিন্দা লুৎফর রহমান(৮০), যশোর ২৫০শয্যা জেনারেল হাসপাতালের কর্মচারী উত্তম কুমার(২৫), শহরের ঘোপ এলাকার আলম হোসেন(৪২), ওহাব আলী(৭০) ও বারান্দিপাড়া এলাকার বাসিন্দা সিপরা(৪৫)। অভয়নগর উপজেলার আক্রান্তরা হলেন, মাহাবুবুর রহমান(৪৬), মনোয়ারা বেগম(৩৮), রেজাউল করিম(৬০), রুমা খাতুন(৩০), নুরজাহান বেগম(৬২), সেলিনা আক্তার(৫১), আব্দুল মান্নান মোল্ল্যা(৬৪), কাকোলি(৩৫), নোমান ফরাজি(২৭), রেক্সোনা পারভীন(৩৪), ও আফসার হোসেন(৪৫)। কেশবপুর উপজেলার আক্রান্তরা হলেন, দেবজানি রায়(১৬), লাকি খাতুন(৩৫), হাবিবুর রহমান(২৭), ও আবুল খায়ের(৩০)। বাঘারপাড়া উপজেলার আক্রান্তরা হলেন, শহিদুল ইসলাম(৪২), ইসরত জাহান(২৮), রুহুল আমিন(৫৫) ও ফয়সল মাহমুদ(২৩)। মণিরামপুর উপজেলার আক্রান্তার হলেন, উৎপল মুজুমদার(৩৭), আব্দুল মালেক(৩০)। ঝিকরগাছা উপজেলার আক্রান্তরা হলেন, সবুজ হোসেন(২৪), হেলালুর জ্জামান(৪৫) ও আশিকুল হক(২২)। চৌগাছা উপজেলার আক্রান্তরা হলেন, উমা রানি(৬৫), অজিৎ রায়(৭০)। এবং শার্শা উপজেলার আক্রান্তরা হলেন, জিল্লুর রহমান(৩২), সেলিম হোসেন(৪১), হেলাল হোসেন(২৪) ও জাকির হোসেন(৫০)। আক্রান্ত সকলকে নিজ নিজ বাড়িতে আইসোলেশনের রেখে বাড়ি লকডাউন করেছেন স্থানীয় প্রশাসন।## SHARES যশোর কর্ণার বিষয়: