লকডাউনের মধ্যেই যশোরে সড়ক দুর্ঘটনায় ঝরলো চার প্রাণ

প্রকাশিত: ৮:৫৪ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৩, ২০২১

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সারাদেশে চলছে কঠোর লকডাউন। সারাদেশে বন্ধ রয়েছে গণপরিবহন চলাচল। কিন্তু এর মাঝেই যশোরে একদিনে অভয়নগর, মনিরামপুর ও শার্শার নাভারনে পৃথক তিনটি সড়ক দুর্ঘটনায় ঝরে পড়ে মা-ছেলেসহ চার প্রাণ। নিহতদের মরাদেহ যশোর মর্গে পাঠানো হয়েছে।

নাভারণ
যশোরের নাভারণে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মা ও ছেলের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় তাদের সাথে রায়সা নামে ৭ বছরের এক শিশু আহত হয়েছে। শিশুটিকে গুরুতর অবস্থায় যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
উক্ত দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন, ঝিকরগাছা উপজেলার শেকলঘোনা গ্রামের শফুরা বেগম (৭২) ও তার ছেলে শফিকুল ইসলাম (৪২)। আজ শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে যশোর-বেনাপোল সড়কের নাভারণ কামারবাড়ি মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
সূত্র হতে জানা যায়, নিহত শফিকুল, তার মা ও মেয়ে তিনজন মিলে মোটরসাইকেল চালিয়ে নাভারন যাচ্ছিলে। পথিমধ্যে আনসার ক্যাম্প কামারবাড়ি মোড়ে পৌঁছুলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সাথে সংঘর্ষ হয। এতে তিনজনই গুরুতর আহত হন। খবর পেয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাদের উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর ১টার দিকে শফিকুল ইসলাম মারা যান এবং বেলা তিনটার দিকে তার মা শফুরাও মারা যান। এছাড়া রায়সা হাসপাতালে ভর্তি আছে।

অভয়নগর
এদিকে আজ সকালে যশোরের অভয়নগরে ট্রাকচাপায় রবিউল ইসলাম (৫৫) নামে একজন নসিমনচালক নিহত হয়েছেন। নওয়াপাড়া জুটমিলের সামনে যশোর-খুলনা মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।নিহত রবিউল অভয়নগর উপজেলার পুড়াখালী গ্রামের রশিদ সরদারের ছেলে।
রবিউলের ভাই আবু তাহের জানান, তার ভাই সকালে নসিমনে ধান বোঝাই করে পুড়াখালী থেকে ভৈরব সেতু পার হয়ে নওয়াপাড়া বাজারে যাচ্ছিলেন। নওয়াপাড়া জুটমিলের সামনে পৌঁছালে তার নসিমনটি উল্টে যায়। তিনি রাস্তার ওপর ছিটকে পড়েন। এ সময় যশোরগামী একটি ট্রাক চাপা দিলে তিনি গুরুতর আহত হন। খবর পেয়ে নওয়াপাড়া ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাকে উদ্ধার করে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। ১১টার দিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মোক্তাদিরুল হক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মনিরামপুর
অপরদিকে যশোরের মনিরামপুরে স্বামীর মোটর সাইকেল থেকে পড়ে রহিমা বেগম (২০) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। আজ সকাল আটটার দিকে যশোরের মণিরামপুর উপজেলার গঘুদা এলাকায় এদুর্ঘটনা ঘটে৷ নিহত রহিমা বেগম উপজেলার ঘরিয়া ভরপতপুর গ্রামের রাশেদ হোসেনের স্ত্রী৷
নিহতের স্বামী রাশেদ হোসেন জানান, শুক্রবার রাশেদ ও তার স্ত্রী রহিমা মোটর সাইকেল যোগে তাদের বাড়ি থেকে বাবার বাড়ি ভরতপুর যাচ্ছিলো৷ পথিমধ্যে গঘুধা এলাকায় পৌছালে অসাবধানতা বসত রহিমা মোটর সাইকেলের পিছন থেকে পড়ে গাছের সাথে ধাক্কা খায়৷ এসময় রাশেদ হোসেন রহিমাকে উদ্ধার করে মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্ কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়৷ অবস্থা খারাপ হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালে এনে ভর্তি করে৷ সকাল ১১টায় সার্জারী বিভাগের ইন্টার্ণ চিকিৎসক সালাউদ্দিন তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি জানান, অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।