লাইকি ভিডিও বানানোর কথা বলে সিলেটে এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ

প্রকাশিত: ৫:২১ অপরাহ্ণ, জুন ১৫, ২০২১

লাইকি ভিডিও বানানোর কথা বলে সিলেটে এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা মামলা করলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে ধর্ষক ও তার সহযোগী। তবে ভুক্তভোগীর পরিবারের দাবি, অভিযুক্তরা প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করছেন সিলেট নগরে। উল্টো মামলা তুলে নিতে প্রতিনিয়ত হুমকি দিচ্ছেন। এতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন সেই তরুণী ও তার পরিবার।

সোমবার (১৪ জুন) দুপুরে সিলেট জেলা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান ভুক্তভোগী তরুণীর বাবা। ভুক্তভোগীর বাড়ি সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায়। তারা বর্তমানে জগন্নাথপুর উপজেলার মিরপুর বাজার এলাকায় থাকেন। তার বাবা পেশায় একজন রিকশাচালক।

সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী তরুণীর বাবা বলেন, সম্প্রতি লাইকি অ্যাপে ভিডিও প্রকাশের মাধ্যমে সিলেটের শাহপরাণ থানার টিলাগড় এলাকার লিজা নামে এক তরুণীর সঙ্গে আমার মেয়ের পরিচয় হয়। তার মাধ্যমে সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার বাণীগাজী গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে জুবায়ের আহমদের সঙ্গে ফোনে পরিচয় হয়। জুবায়ের বর্তমানে সিলেট নগরের শিবগঞ্জ লামাপাড়া এলাকার মোহিনী ৮৩/এ বাসায় নিজের বোনের সঙ্গে থাকেন।

এরপর তারা সবাই ফোনে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন। জুবায়ের মি. ফানি আহমদ নামে লাইকি অ্যাপে বিভিন্ন ভিডিও প্রকাশ করতেন। ১৭ মে বাসার মালিকের বাড়ি সিলেটের বিশ্বনাথ বেড়াতে যান আমার মেয়ে। সেখানে থাকা অবস্থায় ১৯ মে জাফলংয়ে লাইকি ভিডিও বানানোর কথা বলে আমার মেয়েকে নিয়ে যান লিজা। কিন্তু জাফলংয়ে না নিয়ে তিনি মেয়েটিকে সিলেট নগরের শিবগঞ্জ এলাকায় জুবায়েরের বাসায় নেন।

ওই সময় বিষয়টি জানতে চাইলে মেয়েকে জুবায়েরর বাসায় কিছুক্ষণ বসতে বলে চলে যান লিজা। এরপর আমার মেয়েকে নাস্তা দেন জুবায়ের। নাস্তা খেয়েই অসুস্থ হয়ে পড়েন মেয়েটি। পরে জুবায়ের আমার মেয়েকে রাতভর ধর্ষণ করেন। পরদিন সকালে মেয়েকে বিশ্বনাথের সেই বাসায় দিয়ে যান। এছাড়া বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য হুমকি দেন।

ভুক্তভোগীর বাবা আরো বলেন, এ ঘটনায় ২৬ মে সিলেটের শাহপরাণ থানায় একটি মামলা করি। মামলার এতদিন পরও আসামিদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। আসামিরা প্রকাশ্যে সিলেট নগরে ঘোরাফেরা করছেন। এছাড়া মামলা তুলে নেয়ার জন্য আমাকে ও আমার মেয়েকে প্রাণে মারার হুমকি দিচ্ছেন। ধর্ষক ও তার সহযোগীকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা চেয়েছেন ভুক্তভোগীর রিকশাচালক বাবা।