শার্শায় অবৈধভাবে মাটি-বালু উত্তোলণকারী ৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড

প্রকাশিত: ৭:১৩ অপরাহ্ণ, জুলাই ৬, ২০২২

মোঃ সাহিদুল ইসলাম শাহীন,বিশেষ প্রতিনিধি:-

বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন-২০১০ এর ১৫ নং ধারা অনুযায়ী শার্শা উপজেলায় অবৈধভাবে মাটি/বালু উত্তোলণকারী মোট ৬ জনকে গ্রেফতার করে সাজা প্রদান করেছেন শার্শা উপজেলার ভ্রাম্যমান আদালত (মোবাইল কোর্ট)। এর নেতৃত্বে ছিলেন শার্শা উপজেলার নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ফারজানা ইসলাম, সহকারী কমিশনার(ভূমি) শার্শা উপজেলা,যশোর। দন্ডিত ব্যাক্তিরা হলো-
মোঃ আতিয়ার রহমান (৫০)-সাং-দূর্গাপুর,-১ মাস মোঃ রবিউল ইসলাম(২৭), সাং- দুর্গাপুর,-১ মাস, মোঃ অহেদুজ্জামান, ইমাদুল ইসলাম (৩৫), সাং-ধান্যখোলা, ৩ মাস
মোঃ শরিফুল ইসলাম(৩০), সাং-কন্যাদহ, -২ মাস, আল- আমিন (২৪), সাং-পারুইখুপি-২ মাস মেয়াদে কারাদন্ডে দন্ডিত প্রদান করা হয়।

সহকারী কমিশনার(ভূমি) শার্শা উপজেলা অফিস কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত
০৪.০৭.২০২২ ইং সোমবার শার্শা উপজেলাধীন লক্ষনপুর,নিজামপুর ও বাহাদুরপুর ইউনিয়নের কয়েকটি স্থানে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। অবৈধভাবে মাটি/বালু উত্তোলন করায় বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ এর ১৫ ধারায় ১ জনকে ৩ (তিন) মাসের, ২ জনকে ২( দুই) মাস করে এবং ৩ জনকে ১(এক) মাস করে বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়।

এ সংক্রান্ত বিষয়ে অভিযান পরিচালনাকারী শার্শার নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও ভ্রাম্যমান আদালত প্রধান ফারজানা ইসলাম বলেন,উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কিছু অসাধু ব্যবসায়ী নগদে কিংবা চুক্তি ভিত্তির মাধ্যমে কৃষি জমি ক্রয় করে তাতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে দীর্ঘ দিন যাবৎ মাটি উত্তোলন করে বিক্রয় করে আসছিল। এসব ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় মেশিন জব্দ ও জরিমানা করে যাচ্ছে শার্শার ভ্রাম্যমাণ আদালত। কিন্তু তাতেও সুফল আসছিল না। মেশিন জব্দের কিছু দিন যেতে না যেতেই তারা নতুন মেশিন কিনে মাটি কাটার ব্যবসা পুনরায় শুরু করে বসে। এরই অংশ হিসেবে গত ০৪/৭/২০২২ ইং সোমবার অত্র উপজেলার লক্ষণপুর,নিজামপুর ও বাহাদুরপুর মোট তিনটি ইউনিয়নে ড্রেজার মেশিনের বিরুদ্ধে দিনব্যাপী অভিযান পরিচালনা করে মোট ৬ জনকে গ্রেফতার ও বিভিন্ন মেয়াদে তাদেরকে সাজা প্রদান করে ঐদিনই পুলিশ প্রহরায় যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। জনস্বার্থে উপজেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালত এর অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।

আসামীদেরকে গ্রেফতার ও ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা কালে শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মামুন খান এর নেতৃত্বে থানার একটি পুলিশ দল ও স্থানীয় জনগন সার্বিক সহযোগিতা করেন।