শিবচরের মাহির বিয়ে বাণিজ্যের চার প্রতারণা ফাঁস

প্রকাশিত: ৭:৫৭ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৮, ২০২২


স্টাফ রিপোর্টারঃ

মাদারীপুর জেলার শিবচর থানার রাজার চর ফরাজি কান্দির মুন্সি বাড়ির শাহালম মুন্সির মেয়ে মাহির বিয়ে বানিজ্যের আড়ালে ৪ প্রতারণা ফাঁস। মাদারীপুর সদরের অধিবাসী ব্যাংকার সিয়ামের অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায় যে, মেঘের পরী নামক একটি ফেসবুক আইডির মাধ্যমে মাহি প্রথমে সিয়ামের সাথে কথা বলে এবং সিয়ামকে মাহি তার রুপের ফাঁদে ফেলে মিথ্যা বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়া শুরু করে। এমতাবস্থায় বিয়ের প্রস্তাব দিতে নভেম্বর মাসের ২২ তারিখে সিয়ামের বাবা আর মামা মাহিদের বাড়িতে এসে মাহিকে পছন্দ করে ডিসেম্বরের ৭ তারিখে সিয়াম ও তার মা বোন সহ পূনরায় মাহিদের বাড়িতে এসে বিয়ে পাকাপাকি করে যেতে চায়। নভেম্বরের ২৮ তারিখে সর্বশেষ মাহি তার নিজের বিকাশ নাম্বারে সিয়ামের নিকট থেকে টাকা আনার পর থেকে মাহিরা আর সিয়ামদের ফোন রিসিভ করেনা ও মেসেজের কোন রিপ্লাই না দেয়ায় পরবর্তীতে সিয়ামের বাবা আর মামা গোপনে মাহিদের গ্রামে এসে গ্রামবাসীর সাথে কথা বলে জানতে পারে যে, সিয়ামের আগেও মাহি মিথ্যা বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে রুবেল কামরুল ও সোহেল নামক তিন জনের নিকট থেকে অনেক টাকা হাতিয়ে গা ঢাকা দিয়েছিলো তাই নিয়ে এলাকায় দরবার শালিসও হয়েছে কয়েকবার। এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে আরো জানা যায় যে, প্রথমে মাহিরা সদরপুরের রুবেল নামের একটি ছেলেকে বিয়ে করার আশা দিয়ে বিয়ের আংটি পড়ে রুবেলের নিকট থেকে অনেক টাকা হাতিয়ে নিয়ে ৩ মাস পর সুকৌশলে রুবেলকে বিয়ের আংটি ফেরত নিতে বাধ্য করলে রুবেল ক্ষিপ্ত হয়ে ৮ টি মোটরসাইকেল যোগে ১৬ জন লোক মাহিদের বাড়িতে এসে টাকা ফেরত দেওয়ার হুমকি দিলে মাহির নানা সেই টাকা ফেরত দিবার প্রতিশ্রুতি দিলেও শেষ পর্যন্ত আর ফেরত দেয়নি। পরবর্তীতে মাহির মা বাবা মাহিকে কুতুবপুরের কামরুল নামের একটি ছেলের সঙ্গে বিয়ে দিলে মাহি ইয়াবার প্যাকেট সহ বাসর ঘরে ঢুকে স্বামীর বিছানার নিচে ইয়াবা রেখে পুলিশে খবর দিয়ে নিরীহ কামরুলকে ইয়াবার ব্যবসায়ী হিসেবে ফাঁসিয়ে টাকা আর স্বর্ণের চেন নিয়ে বাপের বাড়ি ফিরে এসেই জোরপূর্বক কামরুলকে ডিভোর্স মেনে নিতে বাধ্য করে। তারপর মাহি সোহেল নামের একটি ছেলেকে তার ছলনাময়ী ভালোবাসার ফাঁদে ফেলে মিথ্যা বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক বছর পর্যন্ত অনেক টাকা হাতিয়ে নিয়ে সুকৌশলে সোহেলকে ছুঁড়ে ফেলে দিলে সোহেল শিবচর থানায় প্রতারক মাহির নামে অভিযোগ করলে মাহিদের বাড়িতে ৪ জন পুলিশ এসে সোহেলের টাকা ফেরত দিতে চাপ দেয়। এমতাবস্থায় মাহিয়ার বাবা মা পরিকল্পিতভাবে বিষয়টা নিজেদের মধ্যে মীমাংসার কথা বলে এক রাতে সোহেলকে মাহিদের ঘরে ডেকে নিয়ে মাহিয়াকে দিয়ে সোহেলকে ফাঁসানোর নাটক সাজিয়ে উল্টো সোহেলের নিকট থেকে টাকা আদায়ের লক্ষ্যে এলাকার মেম্বার সহ মাদবরদের ডেকে তৎক্ষণাৎ বিচার বসায়। সেই বিচারে সমস্ত সাক্ষ্য প্রমাণ যাচাই – বাছাই শেষে মাহিয়ারাই দোষী প্রমাণিত হয়েছে। পরবর্তীতে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেম্বার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা এলাকাবাসীদের নিয়ে ৬ বার দরবার শালিস বসালেও আজোও সোহেলের সেই টাকার ঝামেলার কোন ফয়সালা হয়নি। প্রতারক মাহি বিয়ে বানিজ্যের আড়ালে বারবার এমন প্রতারণা করলেও মাহির মা বাবা ও তাদের বংশের লোকজনেরা প্রতারিত হওয়া ছেলেদের ঘাড়েই মিথ্যা দোষ চাপিয়ে দিয়ে সর্বদা মাহির পক্ষে কথা বলায় মাহি বিভিন্ন ছেলেদের সাথে এমন প্রতারণা করতে ভয় পায়না। প্রতরণার শিকার সিয়াম বলেন, বিয়ে বানিজ্যের আড়ালে টাকা হাতানোর প্রতারণা করা মাহির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে সাংবাদিক ও প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।