শ্যামনগরে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন অব্যাহত” উপজেলা প্রশাসন নিরব”

প্রকাশিত: ৩:০৩ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৭, ২০২২

এম কামরুজ্জামানঃ

মহামান্য হাইকোর্টের ১৬৩৯২/ ২০১৭ নং রীট পিটিশন আদেশ অমান্য করে শ্যামনগরের নদী ভাঙ্গন এলাকা থেকে ড্রেজার মেশিনে ও লোকালয়ের ঘনবসতি এলাকা থেকে বোরিং করে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন অব্যাহত রয়েছে। শ্যামনগর উপজেলা প্রশাসন অজ্ঞাত কারণে নীরব ভূমিকায়। এভাবে চলতে থাকলে নদী ভাঙ্গন এলাকায় পাউ ‘বোর বেড়ীবাধ রক্ষা করা সম্ভব হবে না। এ ছাড়া জীববৈচিত্র হুমকির মুখে পড়বে। বাংলা ১৪২৩-২৪ থেকে ১৪২৮-২৯অর্থ বছরে শ্যামনগর উপজেলায় কোন বালু মহল ঘোষনা করা হয়নি। অথচ শ্যামনগরের নদী ভাঙ্গন এলাকা থেকেখাস খালেকশনের নামে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন অব্যাহত রয়েছে। অথচ জেলা প্রশাসক মহোদয়ের অফিসে খোজ নিয়ে জানা ষায় শ্যামনগরে খাস কালেকশনের নামে কোন বালু উত্তোলন হচ্ছে না। যদি কেহ উঠাতে থাকে সেটা অবৈধ। নওয়াবেকী এলাকার সাইফুল ও দাতিনাখালী গ্রামের সিরাজুল মোড়ল জানান। প্রতি বছর ঘূর্ণিঝড়ে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়ে বেড়ীবাধ ভেঙ্গে লোকালে নদীর পানি ঢুকে জানমালের ব্যাপক ক্ষতি হয়। ইতিমধ্যে সিডর আইলা বুলবুল আমপান মহাসিন ও সর্বশেষ সিত্রাং আমরা দেখেছি। ঘূর্ণিঝড়ের সময় উপকূলীয় মানুষ মারাত্মক আতঙ্কের মধ্যে জীবন যাপন করে। আর নদী ভাঙ্গন এলাকা থেকে অবৈধভাবে বালি কাটা হলে নদী ভাঙ্গন এলাকার বেড়ীবাধ কোন ভাবে রক্ষা সম্ভব হবে না। উপজেেলার প্রত্যেকটি ইউনিয়নের ভূমি কর্মকর্তার মাধ্যমে উপজেলা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে প্রতিনিয়ত অবৈধভাবে বালু উত্তোলন অব্যাহত রেখেছে কতিপয় ব্যক্তি। তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে কবোতক্ষ ও খোলপেটুয়া নদী থেকে ৪/৫টি ছোট ছোট কার্গোও ৮/১০টি বড় বড় ইঞ্জিন চালিত ট্রলারে ড্রেজার মেশিনে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করে বিভিন্ন ব্যক্তির পুকুর ও বাড়ি ভরাট সহ মুন্সিগঞ্জ বাস স্ট্যান্ডের পাশে নোওয়াবেকী বাজারে দুই পাশে ও ভেটখালী বাজারের পাশে বালুর স্তুপ করে অবৈধভাবে অসাধু ব্যবসায়ীরা বালি বিক্রয় করছে। এ সমস্ত অসাধু ব্যবসায়ীদের কাছে জিজ্ঞাসা করিলে তারা বলেন কালিগঞ্জ ও দেবহাটার বালু মহল থেকে এনে বিক্রয় করছি। পরিকিত ঘটনা তা নয়। পরিবেশ অধিদপ্তর খুলনার মতে সুন্দরবন সংলগ্ন ৫২ ইউনিয়নকে পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা ঘোষনা করেছে। তথ্য অনুযায়ী পরিবেশগত ইউনিয়ন গুলোর মধ্যে শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা পদ্মপুকুর বুড়ি গোয়ালিনী আটুলিয়া মুন্সিগঞ্জ কৈখালী ও রমজান নগর ইউনিয়ন। আরো বলা হয়েছে সুন্দরবন রিজার্ভ ফরেস্টের বাইরে চারিদিকে ১০ কিলোমিটার বিস্তীর্ণ এলাকা টেকসই পরিবেশ ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে বালু উত্তোলন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। অথচ উপজেলা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করছে একটি মহল। বালু উত্তোলনের বিষয়ে শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আক্তার হোসেনের সাথে বালু উত্তোলনের বিষয়ে কথা বললে খুব সুন্দুর ভাবে শোনেন লোকেশনটা মোবাইলে এসএমএস করে পাঠাতে বলেন। পরবর্তীতে দেখা যায় তিনি কোন ব্যবস্থা নেননি। কোননা কোন সময় ইউএনও মহোদ্বয় সাংবাদিকদের কথা রক্ষার্থে ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা কে বলেন। তখন ভূমি কর্মকর্তা নিজে না গিয়ে অফিসের পিয়নকে বা তাদের দালালদের ঘটনাস্থলে পাঠান। তিনি চলে আসার সাথে সাথে আবারও বালু উত্তোলন অব্যাহত থাকে। গতকাল আটুলিয়া ইউনিয়নের বড় কুপট এলাকার নদী ভাঙ্গন এলাকা অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের বিষয় সাংবাদিকরা সরেজমীনে দাড়িয়ে উপজেলা ইউএনওকে মুটো ফোনে জানালে তিনি এসি ল্যান্ট মহোদয় কে পাঠাচ্ছেন বলে জানান। এসিল্যান্ড ২ ঘন্টা পরে ঘটনাস্থলে তাদেরকে ধরতে ব্যর্থ হয়। হাইকোটের নির্দেশ মোতাবেক গত ০৩/১২/২০১৮ তারিখে সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক১৯৭৯ নং স্মারকে রিট পিটিশানের উদ্ধৃতি দিয়ে অবৈধভাবে বালি উত্তোলনে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়ে শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে পত্র প্রেরণ করেন। অথচ নির্বাহী অফিসার শ্যামনগরে এক আচ্ছেএক যাচ্ছে কিন্তু জেলা প্রশাসকের নির্দেশ পদদলিত করছেন। এবিষয়ে শ্যামনগরের সুদি মহল খুলনা বিভাগীয় কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।