শ্যামনগরে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ১৭জন আহত”উভয় পক্ষের থানায় মামলা

প্রকাশিত: ৮:০৫ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৮, ২০২২

এম কামরুজ্জামান, শ্যামনগর সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ

সাতক্ষীরা’র শ্যামনগরে উপজেলা ছাত্রলীগের বিবাদমান দু’পক্ষের সংঘর্ষে ১৭জন আহত হয়েছে। মঙ্গলবার ২৭ ডিসেম্বর বেলা দুইটার দিকে উপজেলা সদরের গোপালপুর এলাকায় ঐ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ছাত্রলীগের উপজেলা কমিটি নিয়ে পদ বঞ্চিত রাজু মন্ডল ও সদ্য গঠিত কমিটির সভাপতি আব্দুল হাকিম সবুজ সমর্থকদের মধ্যে ওই সংঘর্ষ হয়। আহতদের মধ্যে রাজু মন্ডলসহ, রঞ্জু,বিল্লাল হোসেন,সুরেশ মন্ডল, শরিফুল ইসলাম ও হাসানুজ্জামান রিটনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে সংঘর্ষের জন্য উভয় পক্ষ পরস্পরকে দায়ি করেছে। বিনা উস্কানীতে নিজেদের উপর হামলা চালানোর দাবি করে এ ঘটনায় তারা আইনের আশ্রয় নেয়ার কথা জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, প্রায় দুই বছর আগে উপজেলা কমিটি বিলুপ্তির পর চলতি সপ্তাহে শ্যামনগর উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষনা করা হয়। আব্দুল হাকিম সবুজকে সভাপতি ও মাহাবুব বাবুকে সদ্য গঠিত কমিটির সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়া হয়। কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদমান এ দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল।
উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল হাকিম সবুজ জানান কমিটি ঘোষনার পর মঙ্গলবার এলাকায় ফিরলে উপজেলার বিভিন্ন অংশ হতে কর্মী সমর্থকরা তাকে শুভেচ্ছা জানায়। বেলা দুইটার দিকে কয়েকজন সহযোগীকে নিয়ে বাড়িতে যাওয়ার পথে গোপালপুর এলাকায় পৌছালে রাজুর নেতৃত্বে ২৫/৩০ জন তার উপর হামলা করে। এসময় হামলাকারীরা তাদের ব্যবহৃত কয়েকটি মটর সাইকেল ভাংচুর করে বলেও তিনি দাবি করেন। হামলার ঘটনায় তার ৮ জন কর্মী সমর্থক আহত হলেও এক যুবলীগ নেতাসহ তিনজনকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানান তিনি। এঘটনায় উর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দের সাথে পরামর্শ করে শ্যামনগর থানায় অভিযোগ করবেন বলেও জানান ছাত্রলীগ সভাপতি।
আহত রাজু মন্ডল জানায় কর্মী সমর্থক বেষ্ঠিত হয়ে আব্দুল হাকিম সবুজ দুপুরের পর শো-ডাউন নিয়ে গোপালপুর এলাকায় যায়। এসময় তার(সবুজ) সাথে থাকা বহর থেকে কর্মী সমর্থকসহ তাকে উদ্দেশ্য করে গালিগালাজ করা হয়। এক পর্যায়ে সেখানে উপস্থিত এলাকাবাসী প্রতিবাদ করলে সবুজের নেতৃত্বে তার সাথে থাকা ৩০/৩৫ কর্মী সমর্থক তাদের উপর হামলা করে। হামলাকারীদের হাতে বৃদ্ধ পিতাসহ ও সে নিজেসহ তার ৭ কর্মী সমর্থক মারাত্বকভাবে আহত হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। রাজু আরও জানায় তার বাবা দীর্ঘ তিন দশক ধরে সদর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড আওয়ালীগের সভাপতি। হামলার সাথে জড়িতরা তার বৃদ্ধ বাবাকে পর্যন্ত রেহাই দেয়নি দাবি করে তিনি বলেন তাদের বসত ঘরও ভাংচুর করা হয় হামলার সময়।শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মো: নুরুল ইসলাম বাদল জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন দু’পক্ষ লিখিত অভিযোগে ভিত্তিতে উভয় পক্ষের মামলা হয়েছে। গোপালপুর গ্রামের মৃত কালিপদর ছেলে সুরেশ মন্ডল বাদী যাহার নাং-২৭। অপর মামলার বাদী ভুরুলিয়া ইউনিয়নের সোনামুগারী গ্রামের মাহাবুর রহমানের ছেলে আব্দুল হাকিম সবুজ যাহার নং-২৮।