শ্যামনগরে ঝুকিপূর্ন বেড়ীবাঁধ এলাকা পরিদর্শন করলেন জেলা জলবায়ু অধিপরামর্শ ফোরাম

প্রকাশিত: ৮:৪৯ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২২


এম কামরুজ্জামান, শ্যামনগর সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ

সাতক্ষীরা’র জলবায়ু অধিপরামর্শ ফোরাম এর পক্ষ থেকে ১০ মে (শনিবার) শ্যামনগর উপজেলা পেসক্লাবে বিকাল ৫ টায় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন। উক্ত ফোরামের সদস্য সচীব মাধব চন্দ্র দত্ত বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন আজ মানবতার জন্য অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ। যদিও বৈশ্বিক উষ্ণতায় বাংলাদেশের অবদান সর্বনি¤œ (মাত্র ০.৩%) দুর্যোগে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ দেশগুলির মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৩য়। ১৯৯১ থেকে ২০২০ এর মধ্যে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে ১৯৭ টি বড় বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়েছে। এ সময় মানুষের জীবন, জীবিকা, সম্পদ, খাদ্য, পানি, বাসস্থান সহ অন্যান্য সংকট সৃষ্টি করেছে। এই সংকট থেকে উত্তোরনের পথ খুজে বের না করলে অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশের দক্ষিন পশ্চিম উপকুলীয় অঞ্চল জনশূন্য হয়ে পড়বে। লন্ডন ভিত্তিক গবেষনা সংস্থা ম্যাপলক্রাফট বিশ্বের ১৭০ দেশের উপর জরিপ চালিয়ে ১৬ টি দেশকে সর্বপেক্ষা ঝূকিপূর্ণ দেশ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। তার মধ্যে শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ। মতবিনিময় পূর্বে সাতক্ষীরা নাগরিক কমিটির আহবায়ক আনিছুর রহিম ও সদস্য সচীব এ্যাডঃ আবুল কালাম আজাদ, মুক্তিযোদ্ধা মাস্টার নজরুল ইসলাম, সাতক্ষীরার বিশিষ্ট কয়েকজন সাংবাদিক, বেসরকারী এনজিও সংস্থার পরিচালক মোহন কুমার মন্ডল ও সুন্দরবর ফাউন্ডেশনের পরিচালক শেখ আফজাল হোসেন গাবুরা, বুড়িগোয়ালিনী ও মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের ঝুকিপূর্ন বেড়ীবাঁধ পরিদর্শন করেন। নাগরিক কমিটির সদস্য সচীব এ্যাডঃ আবুল কালাম আজাদ মতবিনিময়ে বলেন, দূর্গাবাটি ভেঙ্গে যাওয়া বেড়ীবাঁধ স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে লোনাপানি লোকালয়ে প্রবেশ বন্ধ করেছিল। ঐ এলাকায় ঠিকাদারের মাধ্যমে পূর্নাঙ্গ বেড়ীবাঁধ নির্মান হলেও সঠিকভাবে কাজ হয়নি। যে কোন বড় জুয়ারে ঐ এলাকা আবার ভেঙ্গে নদীর পানি লোকালয়ে প্রবেশ করবে। এছাড়া নদীভাঙ্গন এলাকা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ না হলে উপকুলীয় বেড়ীবাঁধ রক্ষা করা সম্ভব হবে না।