শ্যামনগরে নিহত আবু সাঈদ এর স্ত্রী সুইটি সহ তার পরিবারের কঠোর শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত: ৮:২৯ অপরাহ্ণ, মে ২০, ২০২৩


এম কামরুজ্জামান, শ্যামনগর সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ

সাতক্ষীরা’র শ্যামনগর উপজেলার আটুলিয়া ইউনিয়নের ছোট কুপট গ্রামে আব্দুল হামিদ গাজীর ছেলে নিহত আবু সাঈদ এর অপহরণ ও ধর্ষণের মিথ্যা মামলা দেয়া মারধ ও হুমকি ভয়ভীতি দেখানোর কারণে স্ত্রী জাকিয়া সুলতানা সুইটি সহ তার পরিবারের কঠোর শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার ২০ মে সকাল ১১টায় নওয়াঁবেকী বাসস্ট্যান্ডে
ঘন্টাব্যাপী হাজার হাজার নারী পুরুষের উপস্থিতে
১০ নাং আটুলিয়া ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণের আয়োজনে মানববন্ধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, আটুলিয়া ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি গাজী কামরুল ইসলাম, যুবলীগ নেতা মারুফ বিল্লাহ,ইউপি সদস্য অহিদুল ইসলাম,শ্রমীকলীগ নেতা মোঃ রবিউল ইসলাম
প্রমুখ।
নিহত সাঈদ এর আম্মা নাসরিন খাতুন কান্না জড়িত কন্ঠ বলেন, আমরা ছেলে নিহত আবু সাঈদ বিজ্ঞ নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে গত ২৩/৮/২০২০ সালে ইসলামী শরীয়ত মোতাবে একই গ্রামের জাহাঙ্গীর মোড়লের মেয়ে জাকিয়া সুলতানা সুইটি(১৯) এর সাথে বিবাহ সংক্রান্ত এফিডেভিট করে। আমার ছেলে সাঈদকে সুইটীর পিতা জাহাঙ্গীর মোড়ল সুইটির ভগ্নিপতি কালিগঞ্জ উপজেলা মৌতলা ইউনিয়নের মৃত মনসুর শেখের ছেলে সাদ্দাম হোসেন ও সুইটির চাচা চৌকিদার আলম পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে পার্শ্ববর্তী তেতুল গাছে ঝুলিয়ে রাখে। আমি এ হত্যাকান্ডের বিচার চাই।
বক্তারা বলেন,ছোট কুপট গ্রামের আব্দুল হামিদের পুত্র আবু সাঈদ (২২) একই এলাকার জাহাঙ্গীরের কন্যা সুইটি(১৯) এর সাথে প্রেম সম্পর্ক গড়ে তোলে। গত ২৩ শে আগস্ট ২০২০ সালে সাতক্ষীরা বিজ্ঞ নোটারী পাবলিকের কার্যালয় বিবাহ সংক্রান্ত এফিডেভিট করে শান্তিপূর্ন জীবন যাপন করতে থাকে। বিষয়টি সুইটির পরিবার সহজভাবে মেনে নিতে পারিনি। এ নিয়ে সুইটি ও সাঈদ এর উপরে অমানুষিক নির্যাতন চালায় সুইটির পিতা জাহাঙ্গীর মোড়ল,দুলাভাই সাদ্দাম হোসেন, চৌকিদার আলম সহ তার পরিবারের লোকজন। একপর্যায়ে জাকিয়া সুলতানা সুইটিকে ম্যানেজ করে তার পিতা বাদী হয়ে সাঈদ সহ ৩ জনকে আসামী করে সাতক্ষীরা বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে সম্পূর্ন কাল্পনিক ঘটনা সাজিয়ে ৮২/২১ নং মামলা দায়ের করে। এই মামলায় দীর্ঘদীন কারাবরন করে আবু সাঈদ মুক্তি পেয়ে বাড়িতে আসে সুইটির পরিবারের নিকট মামলা নিষ্পর্তির জন্য যায়। তখন জাহাঙ্গীর মোড়ল সাইদ এর কাছে লক্ষে তিন লক্ষ টাকা দাবী করে। টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ কর সাইদ।
গত ১৭ মে সুইটির পরিবারের পক্ষ থেকে সাঈদকে ব্যপক মারপিট করে। এক পর্যায়ে ঐ রাতে পার্শ্ববর্তী তেতুলগাছে আবু সাঈদের ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায়। সংবাদ পেয়ে শ্যামনগর থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার পূর্বক ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরায় মর্গে প্রেরন করেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মৃত সাঈদের ময়না তদন্তের রিপোর্ট থানায় এসে পৌছায়নি। সাঈদ হত্যার ঘটনায় শ্যামনগর থানায় কোন মামলা রেকর্ড হয়নি। আমার সাঈদ হত্যার প্রকৃত রহস্য উৎঘাটন পূর্বক প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবী জানান।
উল্লেখ্য গত ১৭ মে বুধবার রাতের বাড়ির পার্শ্ববর্তী তেতুল গাছে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলান্ত লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। সে আটুলিয়া ইউনিয়নের ছোট কুপট গ্রামে আব্দুল হামিদ গাজীর ছেলে আবু সাঈদ গাজী (১৮)।