শ‍্যামনগরে স্বামীর নির্যাতনে স্ত্রী হত‍্যা” অবশেষে ময়না তদন্তের পর লাশ দাফন”

প্রকাশিত: ৬:৪৯ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১২, ২০২২

এম,কামরুজ্জামান, শ্যামনগর সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ

সাতক্ষীরা’র শ্যামনগর উপজেলার রমজাননগর ইউনিয়নের রমজাননগর গ্রামের নসিরউদ্দীন গাজীর ছেলে আল-আমীন সাথে মরাগাং গ্রামের নুরইসলামের মেয়ে সালামা বেগম (২৪) সাথে গত ১৮ সালে ইসলামী শরীয়ত মতে বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের সংসারে একটি ১টি মেয়ে সন্তান হয় যার বয়স এখন ৩ বছর ৷ আল-আমীন কর্মহীন, উৎসৃঙ্খল এবং মাদকাসক্ত হওয়ায় নানা সময় সালমাকে নির্যাতন করত ৷ প্রতিবেশিরা নির্যাতনে বাঁধা প্রদান করলে তাদেরকেও হুমকি ধামকি দিতো।
স্বরজমিনে গিয়ে এলাকা সূত্রে জানান, বুধবার ১০ আগষ্ট দুপুর ২ টার সময় রান্না করাকে কেন্দ্র করে আল-আমীন সালমার সাথে গোলমাল করে এবং ব্যাপক মারধর করে।পরে সন্ধ্যায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে সালমা ৷ স্থানীয়দের সহযোগিতায় সালমাকে শ্যামনগর হাসপাতালে নিয়ে যায়।চিকিৎসারত অবস্থায় সালমা মারা যায় ৷এ খবরে স্বামী আল-আমীন ও শাশুড়ি আসমা বেগম তড়িঘড়ি করে ঘরের জিনিসপত্র, হাস, মুরগী ও ভিটাবাড়ি বিক্রি করে পালিয়ে যায়।আল-আমীনের ছোট চাচি রিজিয়া বেগম বলেন, ইদুর মারার জন্য আল-আমীনের মা আসমা বেগম গত ২ বছর আগে বাজার থেকে দানাদার বিষ নিয়ে ব্যবহার করে পরে বাড়িতে রাখে তাই খাওয়ালে অসুস্থ পড়ে।পরে সালমাকে শ্যামনগর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সে খানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়৷ হাসপাতাল থেকে ফিরে আল-আমীন ও তার মা ঘরের জিনিসপত্র, হাস, মুরগী ও ভিটাবাড়ি বিক্রি করে কোথায় চলে গেছে জানি না।
শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী ওয়াহিদ মুর্শেদ বলেন,খবর পেয়ে থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরায় প্রেরণ করা হয়েছিল।ময়নাতদন্তের শেষে বৃহস্পতিবার ১২ আগস্ট রাত নয়টায় সালমার বাবার বাড়ির পারিবারিক কবর স্থানে তার লাশ দাফন সম্পর্ন করে।