সান্তাহারে জমজমাট লিচুর পাইকারি বাজার

প্রকাশিত: ৭:০৩ অপরাহ্ণ, মে ২২, ২০২৩


মোঃ আহসান হাবিব শিমুল (আদমদীঘি,বগুড়া)

দেশের বৃহত্তম রেলওয়ে জংশন শহর সান্তাহারে জমজমাট হয়ে উঠেছে মৌসুমি ফল লিচুর পাইকারি বাজার। সকাল সাড়ে পাঁচ থেকে ছয়টা তথা দিনের আলো ফুটতেই বিক্রেতা ও ক্রেতাদের হাঁকডাকে সরগরম হয়ে উঠে অস্থায়ী বাজার প্রাঙ্গন। সান্তাহার রেলওয়ে লেভেলক্রসিংয়ের ভিতর প্রতিষ্ঠিত স্বাধীনতামঞ্চ প্রাঙ্গনে বসে লিচুসহ মৌসুমি নানান ফলের বাজার। শত শত ঝুড়ি বা টুকরি ভর্তি লিচু বেচা-বিক্রি করতে সময় লাগে বড়জোর এক ঘন্টা। এখানে বর্তমানে লিচু আসে নাটোরের আব্দুলপুর, বাগাতিপাড়া, লালপুর, মালঞ্চি ও দয়ারামপুর এবং রাজশাহীর আড়ানী থেকে। সান্তাহারের পাশের নওগাঁ জেলা শহরে দাম কমসহ নানা কারনে লিচুর বাগান মালিকরা সান্তাহারকে বেছে নিয়েছেন। কয়েক বছর ধরে তারা নিয়মিত আসেন সান্তাহার জংশন শহরের পাইকারি বাজারে। তারা মিনি ট্রাকে এবং ট্রেনে করে রাতে ও কেউ কেউ ভোরে লিচু এনে শত শত টুকরি ঝুড়ি থরে থরে সাজিয়ে রাখেন স্বাধীনতামঞ্চ প্রাঙ্গনের অস্থায়ী বাজারে। একই ভাবে বগুড়ার দুপচাচিয়া, চৌমুহনী, সাহারপুকুর, আদমদীঘির চাঁপাপুর, কুন্দুগ্রাম, নসরতপুর, মুরইল, নওগাঁর আত্রাই ও রাণীনগর এবং জয়পুরহাটের আক্কেলপুর, জিয়ানগর, নওগাঁ সদর, হাপানিয়া, হাটচকগৌরি ও মহাদেরপুর উপজেলা থেকে শতাধিক লিচু ব্যবসায়ী সেই কাকডাকা ভোরে এসে পাইকারি দামে লিচু কিনে যায়। নাটোরের লিচুর আমদানি কমে আসার পর শুরু হবে দিনাজপুর ও রংপুরের লিচুর আগমন। এখানে বর্তমানে দেশীয়জাত ছাড়াও স্থানীয় বোম্বাই, চায়না থ্রী ও মোজাফ্ফর জাতের লিচু বেচা-বিক্রি হচ্ছে। সোমবার ভোরে সরেজমিন জানা যায়, এই পাইকারি বাজারে এক হাজার একশ’পিস লিচুর একটি করে টুকরির দাম আকার, জাত ও রং ভেদে দুই হাজার দুইশ’ থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। বাগান মালিক তথা পাইকারি বিক্রেতা জাহিদুল ইসলাম, আব্দুল মজিদ, সাখাওয়াত হোসেন এবং আব্দুস সাত্তার বলেন, অতি খরার কারনে লিচুর ফলন তেমন একটা ভাল হয়নি। ফলে এবার দাম গতবারের চেয়ে কিছুটা বেশি। লিচুর পাইকারি বাজারের আড়তদার মজিবর রহমান, এরশাদ আলী, জিল্লুর রহমান ও কামাল হোসেন বলেন, সান্তাহারের এই পাইকারি বাজারে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে দিনাজপুরের বেদেনা, চায়না থ্রী ও বোম্বাই জাতের অতি রসালো ও সুমিষ্ট লিচু আসা শুরু হবে।