সার্জেন্ট রফিকের চাঁদাবাজির খবর প্রকাশিত হওয়ায় দোঁড়ঝাপ সহ সাংবাদিককে হুমকি প্রদান

প্রকাশিত: ৩:২৫ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৩, ২০২৩

শার্শা প্রতিনিধিঃ

যশোর থেকে প্রকাশিত দৈনিক গ্রামের কন্ঠ পত্রিকা সহ একাধিক পত্রিকা ও অনলাইন পত্রিকায় নাভারন হাইওয়ের সার্জেন্ট রফিকুল ইসলাম রফিকের নামে চাঁদাবাজির খবর প্রকাশিত হওয়ায় বিভিন্ন ভাবে দোঁড়ঝাপ মিশনে নেমেছেন এই সার্জেন্ট। গত ১৯ই এপ্রিল দৈনিক গ্রামের কন্ঠের প্রথম পাতায় প্রাকাশিত “নাভারন হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সার্জেন্ট রফিকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে সার্জেন্ট রফিক বিভিন্ন ভাবে ম্যানেজ না করতে পেরে অবশেষে সাংবাদিক জাহিদকে মুঠোফোনে চাঁদাবাজির মামলা প্রদানের ভয় সহ বিভিন্ন মাধ্যম দিয়ে হুমকি ও ধামকি প্রদান করেছেন।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, নাভারন হাইওয়ের রুট বেনাপোল হইতে চাঁচড়া চেকপোষ্ট পর্যন্ত এর মধ্যে হাইওয়ের বিভিন্ন স্থানে চলন্ত ট্রাক থামিয়ে মামলার ভয়ভীতি দেখিয়ে মহাসড়কে চাঁদা আদায় করে থাকে। মহাসড়কে অবৈধ যানবাহন চলাচলের জন্য বিভিন্ন চুক্তিতে রাস্তায় চলার পারমিট প্রদান করে থাকে হাইওয়ে পুলিশ। নচিমন, করিমন, আলমসাধু,ইজিবাইক, ও ইটভাটার ট্রলি ও ট্রাক্টর থেকে মাসিক চুক্তিতে ও স্লিপের মাধ্যমে মোটা অংকের টাকায় চাঁদাবাজি করে আসছে। আর এই চাঁদাবাজির নৈপথে রয়েছেন সার্জেন্ট রফিকুল ইসলাম রফিক তার মাধ্যমে এসব টাকা আদায় হয় বলে জানা গেছে। যশোর থেকে বেনাপোল পর্যন্ত কয়েকটি প্রাইভেটকার ও ইজিবাইক ষ্ট্যান্ড রয়েছে আর এসব ষ্ট্যান্ডের সভাপতি ও সেক্রেটারীর সাথে যোগসাজগে মাসিক চুক্তিতে দফারফা করে হাইওয়ে পুলিশ। এছাড়া যে সকল গাড়ীর কাগজপত্র সমস্যা থাকে সে সকল গাড়ী চালককে বড় ধরনের মামলা দেওয়ার ভয় দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা আদায় করছেন বলে তথ্য পাওয়া গেছে। সার্জেন্ট রফিকের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ থাকলেও বহাল তবিয়তে নাভারন হাইওয়েতে চাকরি করে চলেছেন বলে জানা গেছে। চাকরী বাঁচাতে সার্জেন্ট রফিক প্রকাশিত সাংবাদের প্রেক্ষিতে গ্রামের সংবাদ ডট কম নামক একটি অনলাইনে প্রতিবাদ জানিয়েছেন যা যশোর জেলা সহ শার্শা উপজেলার কর্মরত সাংবাদিকদের দৃষ্টিগোচর হলে এমন অপেশাদারিত্ব সংবাদ প্রকাশের জন্য পেশাদার সাংবাদিকরা উক্ত সাংবাদের তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানিয়েছেন।
বেনাপোল পৌরসভার সচেতন নাগরিক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বেনাপোল যশোর হাইওয়ে রাস্তায় যে সকল অবৈধ বাস ও রুটপারমিট বিহীন যানবাহন চলাচল করে সেটা অন্য কোন বাহিনী বা সাংস্থা দিয়ে অভিযান চালালে চাঁদাবাজি ও দূনীর্তির বড় অংশ সাধারন জনগনের সামনে আয়নার মত পরিস্কার হয়ে যাবে।