সিবিএ অকার্যকর করতে নানা অপতৎপরতা যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ২১ কর্মচারীকেও হয়রানিমূলক বদলির অভিযোগ

প্রকাশিত: ৭:১৪ অপরাহ্ণ, জুন ২২, ২০২০

 নিজস্ব প্রতিবেদক ॥

যশোর শিক্ষা বোর্ডে সিবিএকে (কালেকটিভ বার্গেনিং এজেন্ট) অকার্যকর করতে নানা অপতৎপরতা চলছে। এরই অংশ হিসেবে নির্বাচিত সিবিএ নেতাদের যখন তখন হয়রানিমূলক বদলি চলছে। পাশাপাশি তাদের চাকরিচ্যুত করার হুমকির মধ্যেও রাখা হচ্ছে। সিবিএ নেতাদের জব্দ করতেই বোর্ড চেয়ারম্যান এমন কর্মকা- চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। যশোর বোর্ডের সচিব থাকাকালীন বর্তমান চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোল্লা আমীর হোসেনের বিরুদ্ধে বিস্তর দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। কাগজ, কম্পিউটার, প্রিন্টারসহ বিভিন্ন কেনাকাটায় অনিয়ম। সেই সাথে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ঘুষ চাওয়ার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। তখন তিনি তা থেকে উত্তোরণের জন্য সিবিএ’র কাছে সহযোগিতা চান। কিন্তু সে সময় তার এসব অনৈতিক কাজের সমর্থন দেননি তৎকালীন সিবিএ। আর এবার বোর্ড চেয়ারম্যান হিসেবে ফিরে তখনকার দিনের সেই অসহযোগিতার শোধ তুলতে এসব করছেন তিনি। বোর্ড চেয়ারম্যানের এসব কর্মকা- ষড়যন্ত্র ও প্রতিশোধমূলক আখ্যা দিয়ে এগুলো বন্ধের আহবান জানানো হয়েছে। এমনকি চেয়ারম্যানকে সর্তক করে আল্টিমেটামও দিয়েছে সিবিএ নেতারা। সেই সাথে কঠোর আন্দোলনেরও হুশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। নির্বাচিত সিবিএ নেতৃবৃন্দসহ এর সমর্থিত কর্মচারীদের হয়রানিমূলক বদলি ও চাকরিচ্যুত করার হুমকি না দিতে চেয়ারম্যানকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। চেয়ারম্যানের কাছে লিখিতভাবে এমন আহবান জানিয়েছে যশোর শিক্ষা বোর্ড এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন। গতকাল রোববার যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে এমন আবেদন জানানো হয়েছে। সেই সাথে এসব কর্মকা- বন্ধ না করলে আন্দোলনে নামার ব্যাপারে আল্টিমেটাম দিয়েছে এমপ্লয়িজ ইউনিয়টির নেতারা। শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে লিখিতভাবে বলা হয়েছে, সিবিএ’র সভাপতি, সহসভাপতি ও ২০ জন কর্মচারীকে হয়রানিমূলক বদলি করা হয়েছে। বোর্ড এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ ওপেন হার্ট সার্জারি করা। ওপরে ওঠানামা করা তার জন্য কষ্টকর। তারপরও তাকে তৃতীয় তলায় বদলি করা হয়েছে। এদিকে ইউনিয়নের সহসভাপতি ও শিক্ষা বোর্ড শ্রমিক কর্মচারী লীগের কার্যনির্বহিী কমিটির সদস্য দেলোয়ার হোসেনকেও হয়রানিমূলক বদলি করা হয়। তাকে রেকর্ড সাপ্লায়ারের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দারোয়ান পদে বদলি করা হয়েছে। এছাড়াও মাত্র ১ মাস ১০ দিনের মধ্যে সিবিএ’র কোষাধ্যক্ষ ও দপ্তর সম্পাদকসহ ২১ জন কর্মচারীকেও হয়রানিমূলক বদলি করা হয়েছে। তাদের বদলি হয়রানিমূলক এটির স্বপক্ষে যুক্তি হিসেব বলা হয়েছে, করোনার কারণে কাজের চাপও এখন অনেক কম। সেই সাথে সর্তকতার অংশ হিসেবে বোর্ডের সব কাজ এখন অনলাইনে চলছে। তাই এমন পরিস্থিতিতে বার বার বদলির ঘটনা ব্যক্তি স্বার্থ, আক্রোশ ও প্রতিহিংসার প্রতিফলন। লিখিত ওই পত্রে অভিযোগ তোলা হয়েছে, বোর্ডের কোন সমস্যা সমধানে নিয়মানুয়ায়ী সিবিএ’র নির্বাচিত নেতাদের সাথে চেয়ারম্যান কোন ধরণের আলাপ আলোচনা করেন না। বরং উল্টো পরাজিত প্রতিপক্ষ গ্রুপের সাথে নানা শলাপরামর্শ করেন। যেটি সিবিএ নেতৃবৃন্দের প্রতি রীতিমতন অসম্মানেরও।