সুশান্তের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে যা পাওয়া গেছে

প্রকাশিত: ১১:১৩ পূর্বাহ্ণ, জুন ১৫, ২০২০

গতকাল রোববার ভারতীয় অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করেছে মুম্বাই পুলিশ। তবে সুশান্তের ফ্ল্যাট থেকে মেলেনি কোনো সুইসাইড নোট। উদ্ধারের পর সুশান্তের দেহের ময়নাতদন্ত করা হয় মুম্বাইয়ের জুহুর কুপার হাসাপতালে। খবর এনডিটিভি’র

ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট বলছে, সুশান্তের মৃত্যুর কারণ ‘হ্যাংগিং’। অর্থাৎ গলায় ফাঁসি দিয়ে ঝুলে পড়ার কারণেই মৃত্যু হয়েছে এই অভিনেতার। তবে বেশ কিছু নমুনা পাঠানো হয়েছে কালিনা ফরেনসিক ল্যাবে। তার শরীরেরর কোনও অঙ্গে বিষ রয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে, অপেক্ষা সেই রিপোর্টের।
জানা গেছে, গত ছয়মাস ধরেই নাকি মাসনিক অবসাদে ভুগছিলেন অভিনেতা। তার ফ্ল্যাট থেকে নাকি বেশ কিছু মেডিক্যাল রিপোর্ট উদ্ধার করেছে পুলিশ। সুশান্তের করোনা পরীক্ষাও করা হয়, সেই রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।

সুশান্তের দেহের প্রাথমিক ময়নাতদন্ত হলেও এখন পূর্ন হয়নি প্রক্রিয়া, সেই কারণে দেহ পরিবারের হাতে তুলে দিতে এখনও সময় লাগবে। গতকাল ময়ানাতদন্তের পর কুপার হাসপাতালের মর্গেই রাখা ছিল সুশান্তের দেহ। আজ মুম্বাইতে সুশান্তের শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। এরইমধ্যে পাটনা থেকে মুম্বাই পৌঁছেছেন তার পরিবারের সদস্যরা।
ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবর, রোববার সকালে সুশান্ত সিং রাজপুতের বাড়ির এক কর্মচারী থানায় ফোন করে খবর দেন। তার পরেই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। সেখান থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে ঠিক কী কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি।
সুশান্ত সিং রাজপুত বলিউডে পা রাখেন ‘কাই পো চে’ সিনেমার মাধ্যমে। এরপর বেশ কয়েকটি সিনেমায় অভিনয়ের ক্ষুধা মিটিয়েছেন তিনি। ‘ছিছোড়ে’, ‘রাবতা’, ‘কেদারনাথ’ তার ক্যারিয়ারের উল্লেখযোগ্য সিনেমা।
১৯৮৬ সালের ২১ জানুয়ারি পাটনায় জন্মগ্রহণ করেন সুশান্ত সিং রাজপুত। পরবর্তীকালে দিল্লিতে চলে আসে তার পরিবার। দিল্লি কলেজ অব ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়েও ভর্তি হন। কিন্তু সেই সময় থেকেই থিয়েটারের দিকে ঝুঁকে পড়েন তিনি। নাচও শেখেন। তবে পড়াশোনা শেষ করতে পারেননি।