স্কুল-কলেজ খোলা হবে ১৩ জুন : শিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশিত: ৭:৪৮ অপরাহ্ণ, মে ২৬, ২০২১

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি আগামী ১২ জুন পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। বুধবার (২৬ মে) দুপুরে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এ তথ্য জানান। প্রাথমিক থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত সব ধরনের প্রতিষ্ঠানের জন্য এই সিদ্ধান্ত কার্যকর। কওমি মাদরাসাও।

তবে, মন্ত্রী বলেছেন, সংবাদের শিরোনাম করা হোক ১৩ জুন থেকে প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পুনরায় খুলে দেয়া হবে।

দেশে করোনা ভাইরাসের থাবায় গত ১৪ মাস শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে। ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের ১৮ মার্চ থেকে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। এ পরিস্থিতিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি আরেক দফা বাড়ানো হলো।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ঈদের যাত্রার কারণে সংক্রমনে ঊর্ধ্বগতি দেখা যাচ্ছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি ১২ জুন পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হলো।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রসঙ্গ:

শিক্ষক শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়া নিশ্চিত করেই দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।

তিনি বলেন, সীমান্তবর্তী কয়েকটি জেলায় সংক্রমণের হার বেড়েছে। জীবন জীবিকা চলছে। আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের এবং তাদের পরিবারে সদস্যদের জন্য ঝুঁকিতে ফেলতে চাই না। আমরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছুটির বিষয়টি আমরা বৈজ্ঞানিকভাবে চিন্তা করি। সংক্রমণের হার ৫ এর নিচে থাকলে বিশেষজ্ঞরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার কথা বলেছেন। এখন সংক্রমণের হার ৫ এর ওপরে আছে এবং তা ঊর্ধ্বমূখী।

শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় খোলার দাবি জানাচ্ছেন। এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন,দাবি উঠতেই পারে। কিন্তু সিদ্ধান্ত নিতে হয় সব চিন্তা করে। আমরা আশা করছি জুন মাসে স্কুল কলেজ খুলে দিতে পারবো।

কয়েক দিন আগে একটি বেসরকারি গবেষণায় দেখা গেছে, করোনা ভাইরাসজনিত বন্ধে প্রাথমিকের ১৯ শতাংশ এবং মাধ্যমিকের ২৫ শতাংশ শিক্ষার্থী শিখতে না পারার বা শিক্ষণ ঘাটতির ঝুঁকিতে আছে। এমন অবস্থায় শিক্ষার এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার তাগিদ দিচ্ছেন শিক্ষাবিদেরা। তাঁদের অনেকে যেসব এলাকায় সংক্রমণ নেই বা কম, সেসব এলাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ারও সুপারিশ করেছেন।

জানা গেছে, এর আগে সরকার করোনা বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সঙ্গে পরামর্শ করে ২৩ মে থেকে স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় এবং ভারতীয় ধরন নিয়ে উদ্বেগ থাকায় চলমান বিধিনিষেধ বৃদ্ধির চিন্তাভাবনার পাশাপাশি স্কুল-কলেজ খোলা পিছিয়ে ২৯ মে করা হয়েছিল।