স্টাফ সংকটে সান্তাহার স্টেশনে যাত্রী সেবা ব্যাহত

প্রকাশিত: ৬:৪৭ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১০, ২০২৩


মোঃ আহসান হাবিব শিমুল, আদমদীঘি বগুড়াঃ

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের বৃহত্তম জংশন স্টেশন বগুড়ার সান্তাহার। স্টেশনটি আধুনিকায়ন করে বেশ ফিটফাট করা হয়েছে। কিন্তু স্টাফ সংকটের কারনে যাত্রী সেবা ব্যাহত হচ্ছে। তেমন একটা কাজে আসছে না কোটি কোটি টাকার আধুনিকায়ন, তথা উন্নয়ন কাজ।

জানা গেছে, সান্তাহার স্টেশনের পরিবহন সেক্টরে ৫৯ পদের মধ্যে আছে অর্ধেকেরও কম মাত্র ২৭ জন। বাণিজ্যিক সেক্টরে বরাদ্দ পদ ৫৩, কিন্তু কর্মরত আছে ১৬ জন। প্রথম শ্রেণির স্টেশনটির গ্রেড-১ মাস্টার পদ (এক জন) বিগত কয়েক মাস ধরে শুন্য রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন গ্রেডের ১৩ স্টেশন মাস্টারের মধ্যে কর্মরত আছে ৮ জন। পাশাপাশি টিসি, নারী ও পুরুষ ওয়েটিং রুমের বেয়ারা ও আয়া, টিএনসি, সান্টিং পোর্টার, পি-ম্যান, অফিস সহায়ক এবং ডাটা এন্ট্রি অপারেটর পদ দীর্ঘ দিন ধরে শুন্য। স্টাফ সংকটের সুযোগে দীর্ঘ দিন যাবত হাফডজন বাইরের লোক রেলওয়ে কর্মচারীর পরিচয়ে স্টেশনের টিকেট কালেক্টর ও টিকেট বিক্রি করার মত গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর ও পদে দায়িত্ব পালন করছেন। টিকেট কালেক্টর (টিসি) না থাকায় কর্মচারি সেজে স্টেশনে টিকিট সংগ্রহের কাজ করেন বাইরের লোকজন এবং আরএনবি সদস্য। তারা টিকেট সংগ্রহের অজুহাতে সহজ-সরল যাত্রীদের ভয়-ভীতি দেখিয়ে নগদ টাকা সংগ্রহ করে পকেট ভর্তি করে।

এদিকে স্টেশনের সহকারি স্টেশন মাস্টার কক্ষে অধিকাংশ সময় দায়িত্বরত কাউকে পাওয়া যায় না। ফলে ট্রেনের সূচি ও অবস্থান জানতে যাত্রীদের বিপাকে পড়তে হয়। বড় সমস্যা হল ঢাকারও পূর্বে বিজলী বাতি জ্বলা এই স্টেশনে বিকল্প বিদ্যুৎ ব্যবস্থা না থাকা। বিদ্যুৎ বিভ্রাট বা লোডশেডিং এর সময়ে পুরো স্টেশন এলাকা থাকে অন্ধকারে। যাত্রীদের অভিযোগ একটি বৃহৎ জংশন স্টেশনে বিকল্প বিদ্যুৎ ব্যবস্থা না থাকাটা ভয়ংকর ব্যাপার। ঘুটঘুটে অন্ধকারে বৃদ্ধ, শিশু ও নারী যাত্রীসহ মালামাল নিয়ে চরম বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। এই স্টেশনে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করা স্টেশন মাস্টার এবং কর্মরত কমার্শিয়াল ট্রাফিক ইন্সপেক্টর গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের নিকট স্টাফ সংকটে কার্যক্রম ব্যাহত হবার বিষয় স্বীকার করেছেন।