স্ত্রী ও শাশুড়ীর ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষা পেতে একজন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী দিনমজুর স্বামী’র ‘সংবাদ সম্মেলন’ Shuruj Bonpara Shuruj Bonpara প্রকাশিত: ৪:৪৮ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৫, ২০২১ নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরের লালপুরে স্ত্রী ও শাশুড়ীর ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষাপেতে সংবাদ সম্মেলন করেছে সুরুজ আলী নামে এক অসহায় দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী দিন মজুর। সে উপজেলার ওয়ালিয়া ইউনিয়নের ওয়ালিয়া পশ্চিম কারিগরপাড়া গ্রামের মো: আমজাদ আলীর ছেলে। বৃহস্পতিবার সকালে ওয়ালিয়া বাজারের একটি কক্ষে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। লিখিত সংবাদ সম্মেলনে সুরুজ আলী জানান- আমার ১ম স্ত্রী মৃত: জুলেখা বেগম গত দেড় বছর পূর্বে ২টি শিশু কন্যা সন্তান রেখে দূরারোগ্যে মারা যাওয়ার পর উপজেলার কাবিলমোড় এলাকার বাবলু আলীর মেয়ে মোছা: শিলা বেগমের (২৭), সাথে আমার ২য় বিয়ে হয়। কিন্তু গত ১২ই মার্চ শুক্রবার জুম্মার নামাজের সময় আমার স্ত্রী আমার বাড়ী থেকে নগদ ৭০,০০০/- (সত্তর হাজার) টাকা নিয়ে কাউকে কিছু না বলে পালিয়ে বাবার বাড়ী চলে যায়। আমি ওয়ালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ এর চেয়ারম্যান বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করি। ইউপি চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান আমাকে আইনের আশ্রয় নেয়ার পরামর্শ দেন। কারন এই সংক্রান্ত বিষয়ে অত্র ইউনিয়ন পরিষদে ২বার শালিশ হয়েছে। চেয়ানম্যান সাহেবের পরামর্শে আমি গত ১৫ দিন পূর্বে লালপুর থানায় একটি অভিযোগ করি। উল্লেখ্য যে, আমার স্ত্রী ইতিপূর্বেও ২বার একইভাবে ভাবে পালিয়ে বাবার বাড়ী চলে যায়। এ সংক্রান্ত ব্যপারে উভয় পক্ষের মধ্যে আদালতে মামলা হয়েছিল। আমার ২য় স্ত্রীর তার নিজ এলাকায় এইরকম ছলনা করে টাকা আত্মসাৎ করার বেশ কয়টি অভিযোগ আছে যা আমি বিয়ের পরে জানতে পেরেছি। শুধু তাই নয়, আমার সাথে কয়েকবার এই ঘটনায় আমি তার প্রমানও পেয়েছি। তার সমস্ত কু-কর্মের সমর্থনকারী তার মা বা আমার শাশুড়ী। তিনি আরও বলেন- শিলা বেগমের অসৎ উদ্দেশ্য উভয় এলাকার জনপ্রতিধিগন অবগত আছেন। আমি আমার ২টি শিশু সন্তানের কথা চিন্তা করে আপোষ মিমাংশায় আদালতের মামলা নিষ্পত্তির মাধ্যমে আমার স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনি। কিন্তু বার বার একই ঘটনায় আমি নিরুপায় হয়ে পড়েছি। তার পরেও আমার সন্তানদের কথা চিন্তা করে আমার টাকা সহ স্ত্রী কে ফিরে আসতে বললে আমার শ্যালক মো: সোহাগ (২১) আমাকে ফোন করে বলে- আমার বোন কে পাঠাবো না, তোর যা ইচ্ছা করতে পারিস, এছাড়া সে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিচ্ছে যা থানায় অভিযোগের মধ্যে উল্লেখ আছে। আমি এবং পরিবারের লোকজন বর্তমানে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ এবং নিরাপত্বাহীনায় আছি। আমি গরিব অহসায় একজন দৃষ্টি প্রতিবন্ধি মানুষ। আমার স্ত্রী প্রত্যেকবার পালিয়ে যাওয়ার সময় আমার ঘর থেকে নগদ অর্থ সহ বিভিন্ন জিনিসপত্র নিয়ে যাওয়ায় আমি আজ নিঃস্ব্ব। পরিশেষে তিনি প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষন করে বলেন- আমি বাঁচতে চাই, আমি আমার অবুজ ২টি সন্তান এর ভবিষ্যত গড়তে চাই। আমার এই আকুতি আপনাদের গণমাধ্যমে প্রকাশ করে আমার এই সমস্যা সমাধানে সহযোগীতা করবেন আশা করি। এসময় তার ২ শিশু সন্তান, পরিবারের লোকজন এবং বিভিন্ন প্রিন্ট এবং ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। SHARES প্রচ্ছদ বিষয়: