৪০৯ চিকিৎসক নিয়োগ ভাইভার মাধ্যমে, বিধিমালা সংশোধন

প্রকাশিত: ১:৫১ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৩, ২০২১

শুধু মৌখিক পরীক্ষার (ভাইভা) মাধ্যমে ৪০৯ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক (জুনিয়র কনসালট্যান্ট, অ্যানেস্থেসিওলজি) নিয়োগ দেওয়া হতে পারে বলে জানা গেছে। এ জন্য বিসিএস নিয়োগ বিধিমালা-১৯৮১ সংশোধন করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। শিগগিরই এ সংক্রান্ত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হতে পারে।

আজ সোমবার (১২ জুলাই) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনে (পিএসসি) চাহিদাপত্র পাঠিয়েছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে এ পদে অনেক জনবল শূন্য। এ কারণে চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে সরকারি হাসপাতালগুলোকে। এর মধ্যে করোনাকালে সারা দেশে সিসিইউ ও আইসিইউতে রোগীর চাপ আগের চেয়ে অনেক বেশি। ফলে অ্যানেস্থেসিওলজির শূন্য পদ দ্রুত পূরণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিধিমালা সংশোধন করে গত ২৮ জুন গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। এ পদে নিয়োগ পেতে এ বিষয়ে পাঁচ বছরের কাজের অভিজ্ঞতা লাগবে। এ ছাড়া এ বিষয়ে পোস্টগ্র্যাজুয়েট বা ডিপ্লোমা থাকতে হবে।

আজ সোমবার এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাওয়ার কথা জানিয়ে পিএসসির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সরকার চিকিৎসক নিয়োগ দিতে বলেছে। সে সংক্রান্ত চিঠি আমরা পেয়েছি। এখন পরবর্তী করণীয় ঠিক করা হবে।’

ওই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আরও বলেন, এ ধরনের নিয়োগের ক্ষেত্রে ভাইভা নিয়ে নিয়োগ অতীতে দেওয়ার নজির আছে।

এর আগে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, করোনা মোকাবিলায় বিশেষ বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডারের মাধ্যমে আরও ৪০৯ চিকিৎসক নিয়োগ দিবে সরকার। অন্যান্য বিশেষ বিসিএসে প্রিলিমিনারি এবং ভাইভা হলেও ৪৪তম বিসিএসে শুধু মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হবে। এ জন্য বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (বিপিএসসি) নিয়োগ বিধিমালা সংশোধন করে চলতি মাসেই সার্কুলার দেওয়া হতে পারে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ‘দীর্ঘদিন ধরে এ পদে অনেক জনবল শূন্য। এ কারণে চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে সরকারি হাসপাতালগুলোকে। এর মধ্যে করোনাকালে সারাদেশে সিসিইউ ও আইসিইউতে রোগীর চাপ আগের চেয়ে অনেক বেশি। ফলে অ্যানেস্থেসিওলজির শূন্য পদ দ্রুত পূরণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিধিমালা সংশোধন করে গত ২৮ জুন গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। এ পদে নিয়োগ পেতে এ বিষয়ে পাঁচ বছরের কাজের অভিজ্ঞতা লাগবে। এ ছাড়া এ বিষয়ে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট বা ডিপ্লোমা থাকতে হবে।’

সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘শর্ত শিথিল করা হলে আলাদা বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বিশেষ বিসিএস নিতে হতে পারে। নিয়োগ বিধিমালা সংশোধনের কপি এখনও পিএসসিতে আসেনি। এলে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কত নম্বরের পরীক্ষা নেওয়া হবে, সে বিষয়ও কমিশন সভায় আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিধি অনুবিভাগ) আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, দেশের হাসপাতালগুলোয় জুনিয়র কনসালট্যান্ট (অ্যানেস্থেসিওলজি) পদ শূন্য। এতে অপারেশনের মতো গুরুত্বপূর্ণ সেবা দিতে কর্তৃপক্ষকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এজন্য এসব পদে নিয়োগ দিতে বিশেষ বিসিএসের আয়োজন করা হবে। বিসিএস নিয়োগ বিধিমালা সংশোধন করে শর্ত শিথিল করা হয়েছে। নিয়োগের প্রস্তাব গত বুধবার (৩০ জুন) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘অন্যান্য বিষয়ের মতো অ্যানেস্থেসিওলজি নিয়ে বেশিরভাগ চিকিৎসক পড়তে চান না। ফলে অনেক পদ শূন্য রয়েছে। এসব পদ দ্রুত পূরণে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দ্রুত নিয়োগের জন্য এখন কাজ চলছে।’

এদিকে বিসিএস নিয়োগ বিধিমালা ১৯৮১ সংশোধন করে জুনিয়র কনসালটেন্ট নিয়োগের এ প্রক্রিয়ায় অ্যানেস্থেসিওলজিতে পোস্ট গ্রাজুয়েট চিকিৎসকরা বঞ্চিত হবেন বলে মনে জ্যেষ্ঠ চিকিৎসকরা। তারা বলেন, এসব পদে পদোন্নতি প্রত্যাশী অনেক চিকিৎসক পোস্ট গ্রাজুয়েশন করে উপজেলা, জেলা ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দীর্ঘদিন কর্মরত আছেন। তাদের পদোন্নতি দিলেই জুনিয়র কনসালটেন্টের প্রয়োজনীয়তা মিটে যায়।