৫০০ টাকা করোনা পরীক্ষার ফি !

প্রকাশিত: ৯:০৫ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৩, ২০২১

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে কুমুদিনী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন উপসর্গ থাকা রোগীদের করোনা পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহে জনপ্রতি ৫০০ টাকা করে নেয়া হচ্ছে।এ নিয়ে রোগী ও স্বজনদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।

জানা গেছে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে নমুনা দিলে ১০০ এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা রোগীর বাসা থেকে নমুনা সংগ্রহ করলে ৩০০ টাকা ফি নির্ধারণ করেছে সরকার। তবে এর কোনটিই মানা হচ্ছে না কুমুদিনী হাসপাতালে।

কুমুদিনী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন উপজেলার উয়ার্শী ইউনিয়নের কাওয়ালজানি গ্রামের আমেনা আক্তারের মেয়ে জামাই মো. মনির হোসেন জানান, শাশুড়ির করোনা পরীক্ষার জন্য কুমুদিনী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ৫০০ টাকা ফি নিয়েছে।

একই কথা জানান বাসাইল উপজেলার করটিয়া এলাকার সুমিতা রানীর ছেলে সন্তোষ, সখিপুর উপজেলার সুরবান সরকারের মেয়ে অরুনা সরকার, মির্জাপুর উপজেলার ভাদগ্রাম ইউনিয়নের কুইচতারা গ্রামের শহরভানুর মেয়ে বেদেনা ও মেয়ের জামাই মাহমুদ।তাদের প্রত্যেকেরেই রোগী কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

jagonews24

বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১০ জনের নমুনার সঙ্গে ১০০ টাকা করে জমা দেয় কুমুদিনী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বাকি টাকা খরচের জন্য রেখে দেয়।
কুমুদিনী হাসপাতালের এজিএম (অপারেশন) অনিমেষ ভৌমিক বলেন, করোনা উপসর্গ থাকা রোগীদের নমুনা সংগ্রহের কাজে কেউ আগ্রহ দেখায় না। এছাড়া যাতায়াত খরচের বিষয় আছে। ৫০০ টাকা করে নেয়া হলেও নমুনার সঙ্গে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ১০০ টাকা ফি জমা দেয়া হয়। বাকি টাকা নমুনা সংগ্রহ ও যাতায়াত খরচের জন্য রাখা হয়।

কুমুদিনী হাসপাতালের পরিচালক ডা. প্রদীপ কুমার রায় জানান, বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) বিকেল থেকে করোনা পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহের জন্য ৫০০ টাকার পরিবর্তে ২০০ টাকা ফি নির্ধারণ করা হয়েছে।

টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মো. শাহাবুদ্দিন খান জানান, সরকার নির্ধারিত ফি ১০০ টাকা। কুমুদিনী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সরকারি ফি’র ছাড়া তাদের খরচ বাবদ অতিরিক্ত ১০০ টাকা করে নিতে পারে। এর বেশি নিলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।