‌কো‌র্টের সা‌থে প্রতারণা করায় আইনজীবী জ‌নি সাস‌পেন্ড

প্রকাশিত: ১১:৪০ পূর্বাহ্ণ, জুন ১২, ২০২০

যশোরে জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে খোদবিচারকের হাতে ধরা পরার ঘটনায় এবার জেলা আইনজীবী সমিতি থেকে সৈয়দ কবীর হোসেন জনিকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সমিতির নির্বাহী কমিটির জরুরী সভা থেকে এ স্বীদ্ধান্ত নেয়া হয়। এছাড়া তার বিরুদ্ধে সমিতিতে আসা এক আসামিকে মুক্তির পর জোর করে টাকা আদায়ের অভিযোগের বিষয়ে তাকে শোকজও করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট এম ইদ্রিস আলী। এর আগে অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আকরাম হোসেন অভিযুক্ত জনির বিরুদ্ধে জেলা আইনজীবী সমিতিতে অভিযোগ দেন। একই সাথে ১০ দিনের মধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জেলা আইনজীবী সমিতিতে নির্দেশও দেয়া হয়। জনির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে, তিনি আদালতে একটি পিটিশন দাখিল করেন। আদালত কোতোয়ালী থানাকে নিয়মিত মামলা হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন। পরে থানা নিয়মিত মামলা রুজু করে। যার মামলা নং জিআর ২৪৪/২০। এ মামলায় তিন আসামিকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করা হয়। আসামিরা হলেন, ফয়েজ ইসলাম ইভান, মুক্তা ইসলাম ও উম্মে আসমা তন্দ্রা। এরপর জনি বাদী পক্ষের আইনজীবী হওয়া সত্বেও ভোল পাল্টে আসামি পক্ষে কাজ শুরু তরে। গত ৩ জুন ভার্জুয়াল কোটে ওই তিন আসামির জামিন শুনানী অনুষ্ঠিত হয়। আইনজীবী জনি আসামিদের মুক্তির জন্য বাদী ও আসামি পক্ষের সাথে মীমাংশা হয়েছে মর্মে একটি জাল এফিডেবিট আদালতে উপস্থাপন করে। এফিডেবিটে মামলার এজাহারকারী হিসেবে ইয়াসিন আরাফাতের নাম উল্লেখ করা হয়। পরে আদালত প্রমান পায় ওই মামলার বাদী ইয়াসিন নয়, উম্মে সালমা শিখা। শুধুই তাই নয়, আদালতের আদেশ অমান্য করে ভার্চুয়াল আদালত না মেনে নিজে বিচারকের খাস কামড়ায় এসে জামিনের জন্য পিড়াপিড়িও করেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। এঘটনায় সমিতির পক্ষথেকে ৭ জুন তাকে শোকজ করা হয়। সর্বশেষ সন্তোষ জনক জবাব না পেয়ে বৃহস্পতিবার তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এছাড়া এ মামলার আসামি উম্মে আসমা তন্দ্রা জামিনে বেরিয়ে জেলা আইনজীবী সমিতিতে পৃথক একটি অভিযোগ করেন। অভিযোগে তিনি বলেন, তাদের তিনিজনকে আত্মসমার্পণ করিয়ে জামিনে বের করে দেবে মর্মে সাত হাজার টাকা দাবী করেন জনি। কিন্তু সে তাদের সাথে প্রতারণা করে। পরে ৬০ হাজার টাকা দাবী করে। এরমধ্যে জনি ৪৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। বাকি ১৫ হাজার টাকার জন্য বিভিন্ন মহলথেকে জীবন নাশের হুমকি দিচ্ছেন মি.জনি। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে জেলা আইনজীবী সমিতিকে শোকজ করা হয়। একই সাথে সাতদিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়। এদিকে, জনির দাবি তিনি কোনো ধরণের জালিয়াতি করেন নি। কম্পিউটারে ভিকটিমের স্থানে এজাহারকারী লেখা হয়েছিল। যা টাইপিং এর মিসটেক। পরে ভূল ঠিক করেই আদালতে দাখিল করেছেন। তার কোনো অপরাধ নেই। তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন।