বড়াইগ্রামে পূর্ব শত্রুতার জেরে বাড়ি-ঘর ভাংচুর,নগদ দুইলক্ষ টাকাসহ স্বর্ণালংকার লুট

প্রকাশিত: ৪:১৮ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৮, ২০২২

বড়াইগ্রামে পূর্ব শত্রুতার জেরে বাড়ি-ঘর ভাংচুর,নগদ দুইলক্ষ টাকাসহ স্বর্ণালংকার লুট

 

 

নিজস্ব প্রতিনিধি।

 

নাটোরের বড়াইগ্রামে পূর্ব শত্রুতার জেরে বাড়ি-ঘর ভাংচুর, মারধর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।

শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে উপজেলার নগর ইউনিয়নের পারগোপালপুর এলাকায় ভাংচুর, মারধর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এ সময় আহত হয় ২জন। আহত দুইজনকে এলাকাবাসী উদ্ধার করে বড়াইগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ভতি করেন। আহতরা হলেন উপজেলার পারগোপালপুর গ্রামের চিনি খার ছেলে নজরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী শান্তি বেগম। পরে মারধর ও লুটপাটের বিষয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন নজরুল ইসলাম।

জানা যায়, উপজেলার পারগোপালপুর এলাকার প্রভাবশালী হাজী ওমর আলীর ছেলে সুরুজ আলী ও বাদী নজরুলের ছেলে একসাথে গত ৬মাস আগে কাজ করার উদ্দেশ্যে সৌদি আরব যান। তবে বিদেশ গিয়ে সে ঐ কোম্পানির ভিসা আকামা না পাওয়ার জন্য অভিযোগ করেন সুরুজ আলী। পরে তিনি বিদেশে ঐ কোম্পানির মালিককে না জানিয়েই কাজের উদ্দেশ্যে চলে যান অন্য স্থানে। এ বিষয়ে কোম্পানির মালিক সুরুজ আলীর সাথে বার বার যোগাযোগ করলেও সুরুজ আলী আর ফিরে আসে নাই। পরবর্তীতে ভিসা আকামা না থাকায় ঐ দেশের পুলিশ সুরুজ আলীকে গ্রেফতার করে দেশে ফেরত পাঠায়। এরপর থেকেই সুরুজ বিদেশ যাওয়ার প্রায় ৪লক্ষ ৫০হাজার টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য একই গ্রামের নজরুলকে বিভিন্ন সময়,বিভিন্ন ভাবে ভয় ভীতি সহ চাপ প্রয়োগ ও হুমকি দিতে থাকেন। নজরুল এ বিষয়ে প্রতিবাদ করলে সুরুজ একাধিক বার গ্রামে শালিশ বসিয়ে নজরুলের ওপর চাপ প্রয়োগ করে । কিন্তু নজরুল তাকে টাকা ফেরত দিতে রাজি না হওয়ায় গত ২৬ আগস্ট শুক্রবার দুপুরে সুরুজ দলবল নিয়ে নজরুলের বাড়িতে যায় এবং নজরুলকে মারধর করে। বিষয়টি নজরুলের স্ত্রী শান্তি বেগম দেখে সুরুজকে বাধা দিলে তাকেও মারধর করে সুরুজ ও তার দলবল। এরই এক পর্যায়ে সুরুজ তার দলবল নিয়ে নজরুলের ঘরে প্রবেশ করে ঘরের ভেতরে থাকা বাক্সের তালা ভেঙ্গে নগদ ২লক্ষ টাকা, আড়াই ভরি স্বর্ণ লুট করে নিয়ে যায়। এসময় তার প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে সুরুজ তার দলবল নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে প্রতিবেশীদের সহায়তায় নজরুল ও তার স্ত্রীকে উদ্ধার করে বড়াইগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি করেন। এঘটনায় নজরুল বাদী হয়ে সুরুজ আলী সহ ১০ থেকে ১২ জনের নামে থানা মামলা করেন।

বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু সিদ্দিক জানান, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।