নিম্ন আয়ের মানুষের চালে নাভিশ্বাস

প্রকাশিত: ১২:৪৩ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২২, ২০২১

বাজারে চালের অস্বাভাবিক দাম বাড়ায় গত জানুয়ারি মাসে চাল আমদানির শুল্ক ৬২ দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনে সরকার। অবশ্য সরকারের এই ছাড়ের সুফল মেলেনি। সরকার যখন চাল আমদানির শুল্ক কমানোর ঘোষণা দেয়, সে সময় রাজধানীর বাজারগুলোতে খুচরা পর্যায়ে নাজিরশাইল ও মিনিকেট চালের কেজি বিক্রি হচ্ছিল ৬০ থেকে ৬৪ টাকা। মাঝারি মানের পাইজাম ও লতা চালের কেজি ছিল ৫২ থেকে ৫৪ টাকা। আর মোটা চাল ছিল ৫০ টাকার নিচে।

মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে অধিকাংশ মানুষের আয় কমে গেছে। কিন্তু জিনিসপত্রের দাম কমেনি। বরং উল্টো আরও বেড়েছে। সব মিলিয়ে সাধারণ মানুষেরা খুবই কষ্টে আছে।

লকডাউনের কারণে আমাদের আয় অর্ধেকের নিচে নেমে গেছে। দিনে একশ টাকা আয় করা কষ্টকর হয়ে গেছে। এর মধ্যে তরিতরকারি সবকিছুর দাম বেশি। ৫০ টাকার নিচে এক কেজি চাল পাওয়া যায় না। আমরা কেমন আছি। চালের দাম কম থাকলেও কোনো রকমে পানি দিয়ে সেদ্ধ করে খেতে পারতাম। কিন্তু পরিস্থিতি যা দাঁড়িয়েছে প্রতিদিন এক বেলা না খেয়ে থাকতে হয়।

চালের দামের বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, সপ্তাহখানেক আগে চালের দাম বেড়েছে। এরপর নতুন করে চালের দাম বাড়া বা কমার ঘটনা ঘটেনি। মিনিকেট চাল কোম্পানিভেদে ৬৬ থেকে ৭০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। আটাশ চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৬ টাকা। আর মোটা চাল ৫২ টাকা।

আড়তে যে ধরনের কথা শুনছি তাতে মনে হচ্ছে, কিছুদিনের মধ্যে চালের দাম কিছুটা কমতে পারে। কারণ হাওরের ধান ওঠা শুরু হয়েছে। কিছুদিন পর এই ধানের চাল বাজারে আসবে। নতুন চাল বাজারে আসলে দাম কমবে। তবে চালের দাম খুব বেশি কমবে বলে মনে হয় না।

কিছুদিন পর চালের দাম কমতে পারে।  এই সময়ে বাজারে চালের সরবরাহ কম থাকে। এবারও সেটাই দেখা যাচ্ছে। এ কারণে চালের একটু দাম বেড়েছে। তবে ১০-১৫ দিনের মধ্যে চালের দাম কমে যাবে।

হাওরের ধান ওঠা শুরু হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যে বগুড়া, নওগাঁর ধান ওঠা শুরু হবে। এসব ধানের চাল বাজারে আসলে দাম কমে যাবে।