মুসলিমদের উত্থানের ইতিহাসের এক অনন্য দৃস্টান্ত নিয়ে অভিনীত দিরিলিস আর্তগ্রুল

প্রকাশিত: ৯:৪৩ অপরাহ্ণ, জুন ১০, ২০২০

ইকরামুল হক:
দিরিলিস সে তো
মেঘাছন্য আকাশে এক চিলতে সূর্যের হাসি,,
দিরিলিস সে তো ধ্বংসপ্রাপ্ত যুবসমাজকে হাতে ধরে টেনে তোলার এক উত্তম দৃষ্টান্ত

দিরিলিস: আরতুগ্রুল (তুর্কী: Diriliş: Ertuğrul দিরিলিস: এরতুগ্রুল বা পুনরুত্থান: এরতুগ্রুল) হল মেহমেত বোজদাগ ও কেমাল তেকদেন কর্তৃক নির্মিত একটি তুর্কি ঐতিহাসিক অ্যাডভেঞ্চার টেলিভিশন ধারাবাহিক নাটক, যার নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন এনজিন আলতান দোজায়তান। ইস্তাম্বুলের বেয়কোয জেলার রিভা গ্রামে এর চিত্রধারণ করা হয়। ২০১৪-এর ১০ই ডিসেম্বর তুরস্কের টিআরটি ১ টেলিভিশনে প্রথম সম্প্রচারিত হয়। ২০১৬ এর ১৪ই নভেম্বর থেকে বাংলাদেশের একুশে টেলিভিশনে সিরিজটির বাংলা সম্প্রচার শুরু হয় “সীমান্তের সুলতান” নামে এবং একই বছর ২৩শে ডিসেম্বর এর সম্প্রচার স্থগিত করা হয়। পরবর্তীতে বাংলাদেশের মাছরাঙা টিভিতে ২ এপ্রিল ২০১৭ থেকে “দিরিলিস আরতুগ্রুল” নামে পুনরায় এর সম্প্রচার শুরু হয়। ওঘুজ তুর্কিদের ইতিহাসের উপর ভিত্তি করে এটি নির্মিত হয়েছে, যা ১৩ শতাব্দীর মধ্যভাগে উসমানীয় সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা প্রথম উসমানের পিতা এরতুগরুল গাজীর জীবনকে তুলে ধরে। উসমানের জীবদ্দশায় এই সময়কালের প্রাধান্য অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত হলেও এই সময়কালই তার মৃত্যুর পর পরবর্তী ছয় শতাব্দীর জন্য উসমানের রাজবংশের অধীনে একটি বিশ্বময় সাম্রাজ্য গড়ে তোলার পথকে প্রশস্ত করেছিল।

সারা জাগানো তুর্কি সিরিয়াল ‘দিরিলিস আরতুগ্রুল’ দেখে ইসলাম গ্রহণ

বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করা সুপারহিট তুর্কি টিভি সিরিয়াল ‘দিরিলিস আরতুগ্রুল’ বা দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে ইসলাম গ্রহণ করেছেন মেক্সিকান দম্পতি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে একটি সম্মেলনে এই সিরিয়ালটির অভিনেতাদের একজনের সাথে সাক্ষাত করার পরে ইসলাম গ্রহণ করেন ওই মেক্সিকান দম্পতি।

সিরিয়ালটিতে আবদুর রহমান আল্প চরিত্রে অভিনয় করা সেলাল আল একটি মুসলিম সংস্থার অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন। তিনি মুসলিম আমেরিকান সোসাইটির (এমএএস) ২২তম বার্ষিক সভায় অংশ নিয়ে সিরিয়াল এবং তুরস্ক সম্পর্কে আলোচনা করেছিলেন। তিনি যাকাত ফাউন্ডেশনের অতিথি হয়ে এসেছিলেন। পরে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মুসলমানদের এই সংস্থা কতৃক আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবার সাথে দেখা করেন।

অনুষ্ঠানের শেষে এক মেক্সিকান দম্পতি এই বিখ্যাত অভিনেতার হাতে কালেমায়ে শাহাদাত পড়ে ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন।

মেক্সিকান দম্পতি বলেন, ‘আমরা তুর্কি টিভি সিরিজ ‘দিরিলিস আরতুগ্রুল’ দেখে এবং বিশ্বজুড়ে তুরস্কের মানবিক কার্যক্রমে প্রভাবিত হয়ে ইসলাম গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

মুসলিম হওয়ার পরে অভিনেতা সেলাল আল ওই দম্পতিকে ইংরেজি ও স্প্যানিশ ভাষার দুটি কুরআন ও তুরস্কের পতাকা উপহার দিয়েছেন।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান উসমানীয় সাম্রাজ্যের গৌরবময় উত্থানের সত্য কাহিনি অবলম্বনে নির্মিত জনপ্রিয় তুর্কি সিরিজ ‘দিরিলিস আরতুগ্রুল’ এর ভূয়সী প্রশংসা করেছেন । ‍মূলতঃ উর্দু ভাষায় এ সিরিজটি পাকিস্তানের টিভিতে প্রচার হওয়া উপলক্ষ্যে দেয়া বক্তব্যে তিনি এর প্রশংসা করেন।

ইমরান খান টুইটারে এক ভিডিও বার্তায় বলেন, যুবকদের উন্নত চরিত্র গঠনের পাশাপাশি এই সিরিজটির মাধ্যমে তারা ইসলামের গৌরবময় ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারছে। ভিডিওতে ইমরান খানকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন পিটিভিতে সম্প্রচারিত দিরিলিস আরতুগ্রুল দেখতে দেখা যায়।
দিরিলিস আর্তুগ্রুল,,
কিছু ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি

ভাবা যায়!
ভারতীয় সিরিয়াল, হলিউড,আরও উদ্ভট কত কি সিরিজগুলি আমাদের মুসলিম সমাজের মনন-মস্তিস্কে কি ঢুকিয়ে দিচ্ছে??

আজ বাহুবলী,রাম,শীবা,মহাদেব,পান্ডবদের মত উদ্ভট চরিত্র গুলোই তাদর কাছে হিরো।

অথচ এ যুগের ছেলেমেয়েরা খালিদ বিন ওয়ালিদ,আমর ইবনে আস’ দের বীরত্বপূর্ণ গল্প জানেই না।

তারা চিনেনা ইউরোপ কাঁপানো সালাহুদ্দীন আইউবী’কে।

সুলতান ফাতিহ মুহাম্মাদ,তারিক বিন যিয়াদ,মুসা বিন নুসাইর,মুহাম্মাদ বিন কাসিম’ দের কীর্তিমালা ও তাদের অজানা

কেন??

কারন কি?

কারন প্রচারের অভাব,।

কেননা এ যুগের ছেলেরা ইয়া সাইজের ইতিহাস বই ঘাটার চেয়ে মুভি দেখে সস্তা ইতিহাস জানতেই বেশি ভালবাসে।

যার পুরোটাই ভারতীয়দের দখলে।

যারা আমাদের স্বর্ণালী ইতিহাসকে বিকৃত করে আমাদের সন্তানদেরই গুলিয়ে খাওয়াচ্ছে।

ফলস্বরুপ মাহমুদ গযনবী,আলাউদ্দিন খলজি,আলমগীরেরা আজ খলনায়ক।
আর শীবাজি,বল্লাল সেন,রানা প্রতাপ রা নায়কের আসনে।

আপনার জানা আছে!

দেশের ৬০% এর বেশি ফ্যামিলি তে সকাল শুরু হয় টিভিতে উলুধ্বনি শুনে।।

আপনার আদরের সোনামনির নিষ্পাপ মুখ থেকে টিভির অনুকরনে ‘জয় শ্রীরাম’ শ্লোগান বের হয়।

এমতাবস্হায় আপনার সন্তান যদি টিভিতে মুসলিম বীরদের বিরত্বগাঁথা দেখতে পায়।
চিরশত্রু ইহুদি-খ্রীস্টানদের চক্রান্ত সম্পর্কে যদি জানতে পারে।

কোন মুসলিম বীর যদি এভাবে তার হৃদয়ের নায়ক হয়ে যান,।

এতে বিশেষ উপকার হয়তো হবেনা,তবে ক্ষতির গ্রাফটা একটু নিম্নগামী হবে।

কারন এটাই এখন শক্তিশালী জানার মাধ্যম।
আমি আপনি মানি বা না মানি।।

সুতরাং হোকনা একটু মন্দের ভালো, , , ,

আমামি পরিশেষে এটাই Suggest করব
DIRILIS is the best series for the people who are series lover and make enable to know the muslims bravest Warriors who laid their life to spread the islam

LOVE U DIIRILIS for giving SUCH A valuable history