এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ পেয়েছেন যারা

প্রকাশিত: ২:১৪ অপরাহ্ণ, জুন ২৩, ২০২০

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ অসাম্প্রদায়িক চেতনা, মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে লালন করা, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধসহ নানা কারণে আলোচিত। বাংলাদেশের স্বাধীনতা প্রাপ্তি থেকে শুরু করে সকল আন্দোলন সংগ্রামে দলটির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। দেশের প্রতিটা আন্দোলন সংগ্রাম মানেই যেন আওয়ামীলীগ। ঐতিহাসিক এই দলটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে এখনো পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন ১০ জন। সবচেয়ে বেশি চারবার করে হয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জিল্লুর রহমান। এছাড়া তাজউদ্দিন আহমেদ তিনবার, আবদুর রাজ্জাক ও সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ও সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী দুইবার করে, প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক, আবদুল জলিল এবং ওবায়দুল কাদের একবার করে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

শামসুল হক

আতাউর রহমান খানের সভাপতিত্বে প্রথম জাতীয় সম্মেলনে প্রতিনিধি ছিল প্রায় ৩০০ জন। এই সম্মেলনে সভাপতি নির্বাচিত হন মাওলানা ভাসানী, সাধারণ সম্পাদক হন শামসুল হক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান

১৯৫৩ সালের ৩ থেকে ৫ জুলাই মুকুল সিনেমা হলে অনুষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় সম্মেলন। এই সম্মেলনে দলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৫৫ সালের তৃতীয়, ১৯৫৭ সালে চতুর্থ, ১৯৬৪ সালে পঞ্চম জাতীয় সম্মেলনেও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

তাজউদ্দীন আহমেদ

১৯৬৬ সালের ষষ্ঠ জাতীয় সম্মেলনটি ছিল আওয়ামী লীগের জন্য ঐতিহাসিক একটি সম্মেলন। আর এই সম্মেলনে প্রথমবারের মতো সাধারণ সম্পাদক হন তাজউদ্দীন আহমেদ। এতে কাউন্সিলর ও ডেলিগেটের সংখ্যা ছিল এক হাজার ৪৪৩ জন। এরপর ১৯৬৮ সালে সপ্তম ও ১৯৭০ সালে অষ্টম জাতীয় সম্মেলনও পরপর তিনবারের জন্য সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

জিল্লুর রহমান

১৯৭২ সালের ৭ থেকে ৮ এপ্রিল নবম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় সার্কিট হাউজ রোডে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে। এ সম্মেলনে জিল্লুর রহমান সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৭৪ সালের ১০ম, ১৯৯২ সালে ১৫ তম ও ১৯৯৭ সালে অনুষ্ঠিত ১৬তম জাতীয় সম্মেলনেও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন জিল্লুর রহমান।

তবে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের পর ১৯৭৭ সালের দলের ১১তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে কাউন্সিলর ছিলেন প্রায় এক হাজার ৪০০ জন এবং ডেলিগেটও সমসংখ্যক ছিল। এতে দলের আহ্বায়ক নির্বাচিত হন সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দিন।

আবদুর রাজ্জাক

১৯৭৮ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে সামনে রেখে অনুষ্ঠিত হয় দলটির ১২তম জাতীয় সম্মেলন। ৩ থেকে ৫ মার্চ হোটেল ইডেন প্রাঙ্গণে প্রায় এক হাজার ৫০০ কাউন্সিলর এবং সমসংখ্যক ডেলিগেট নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় এ সম্মেলনটি। এতে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন আবদুর রাজ্জাক।

সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী

১৯৮২ সালে আব্দুর রাজ্জাক দলত্যাগ করলে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হন সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। ১৯৮৭ সালের অনুষ্ঠিত হয় আওয়ামী লীগের ১৪ তম জাতীয় সম্মেলন। এই সম্মেলনে সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন।

আব্দুল জলিল

২০০২ সালে আওয়ামী লীগ বিরোধীদলে থাকাকালীন পল্টন ময়দানে অনুষ্ঠিত হয় দলের ১৭তম জাতীয় সম্মেলন। এ সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন আব্দুল জলিল।

সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম

২০০৯ সালের অনুষ্ঠিত হয় দলটির ১৮তম জাতীয় সম্মেলন। এতে দলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। ২০১২ সালে দলটির ১৯তম জাতীয় সম্মেলনেও সাধারণ সম্পাদক পুননির্বাচিত হন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।

ওবায়দুল কাদের

২০১৬ সালের ২০তম ও ২০১৯ সালের ২১তম জাতীয় সম্মেলনে পরপর টানা দুইবার সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন ওবায়দুল কাদের।