বিপাকে পড়েছেন শত শত যাত্রী ও ট্রাভেল এজেন্ট

টার্কিশ এয়ারলাইন্স ১ থেকে ৬ জুলাইয়ের সব টিকিট বাতিল করেছে

প্রকাশিত: ১২:৪৪ অপরাহ্ণ, জুন ২৭, ২০২০

বাংলাদেশ থেকে আন্তজাতিক রুট উন্মুক্ত হয়েছে গত ১৬ জুন। ওই দিন থেকে ফ্লাইট শুরু করে কাতার এয়ারওয়েজ। তুরস্ক ভিত্তিক বিমান সংস্থা টার্কিশ এয়ারলাইন্স এই ঘোষনায় ১ জুলাই থেকে বাংলাদেশ রুটে ফ্লাইট পরিচালনার ঘোষনা দেয়। এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় অনুমতির জন্য তারা বাংলাদেশের সিভিল এভিয়েশনের কাছে আবেদনও জানায়। কিন্তু সিভিল এভিয়েশন কতৃপক্ষ তাদের আবেদনে এখনো সাড়া দেয়নি বলে জানা গেছে।

জানাগেছে সিভিল এভিয়েশনে আবেদনের পাশাপাশি তারা বাংলাদেশ থেকে ফ্লাইট পরিচালনার জন্য ১ জুলাই থেকে টিকিট বিক্রিও শুরু করে। শত শত ট্রাভেল এজেন্ট বিশ্বের বিভিন্ন গন্তব্যে ভ্রমনের জন্য বাংলাদেশী যাত্রীদের কাছে টার্কিশ এয়ারলাইন্স এর টিকিট বিক্রি শুরু করেন।

কিন্তু এখন পযন্ত ফ্লাইট পরিচালণার অনুমতি না পাওয়ায় টার্কিশ এয়ারলাইন্স কতৃপক্ষ ১ জুলাই থেকে ৬ জুলাই পযর্ন্ত বিক্রি হওয়া বিভিন্ন গন্তব্যের টিকিট (ফ্লাইট) বাতিল করে দেন।

এই ঘোষনায় বিপাকে পড়েন ট্রাভেল এজেন্ট মালিকসহ টিকিট ক্রয় করা যাত্রীগণ। ট্রাভেল এজেন্টগুলো এখন যাত্রীদের টিকিটের টাকা ফেরত দিচ্ছে না। তাদের বক্তব্য তারা টার্কিশ এয়ারলাইন্সের অনুমতি নিয়ে তাদের সার্ভার সিস্টেম থেকে টিকিট বিক্রি করেছেন। টিকিটের টাকা ইতিমধ্যে এয়ারলাইন্সের কোষাগারে চলে গেছে।

এখন যাত্রীদের টিকিটের টাকা ফেরত দিতে হলে এয়ারলাইন্সের কাছ থেকে আগে এই টাকা ফেরত নিতে হবে। কিন্তু জানাগেছে টার্কিশ এয়ারলাইন্স কতৃপক্ষ তাদের টাকা ফেরত দিচ্ছে না, তারা বলছে, টাকা ফেরত দেবে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হলে।

জানাগেছে আগামী ৭ জুলাই থেকে সিভিল এভিয়েশনের অনুমতি সাপেক্ষে টার্কিশ এয়ারলাইন্স বাংলাদেশ থেকে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করতে পারে। এ সংক্রান্ত তাদের সব ধরনের প্রস্তুতি আছে।

নাম প্রকাশ না করার শতে একজন ট্রাভেল এজেন্সি মালিক জানান, সিস্টেমে ফ্লাইট অ্যাভেলেবল দেখানোর মানেই হলো টিকিট বিক্রি করা যাবে। একারণে তারা টিকিট বিক্রি করেছেন। কিন্তু হুট করে টার্কিশ জানিয়েছে ৬ জুলাই পযন্ত ঢাকা থেকে তাদের সব ফ্লাইট বাতিল। তারা আরো জানিয়েছে, এই ফ্লাইট তারা দ্রুত রিসিডিউল করবে। ওই মালিক আরো বলেন, ইতিমধ্যে তারা টিকিট ক্রয় করা সব যাত্রীকে ফ্লাইট বাতিলের কথা জানিয়ে দিয়েছেন।

তিনি আরো বলেন, শুধু টার্কিশ এয়ারলাইন্সই নয়, আরো অনেকগুলো এয়ারলাইন্স যাত্রীদের কাছে টিকিট বিক্রি করছেন। অথচ তারা এখনো পরযন্ত বেবিচকের পারমিশন পায়নি। এনিয়েও ভয়াবহ অবস্থা তৈরী হবে।