ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মরে যাওয়া উচিত!

প্রকাশিত: ২:৩১ অপরাহ্ণ, মে ২৮, ২০২০

ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত- এ খবরটা শুনে প্রথম যে আশঙ্কাটি মনে উঁকি দিয়েছে তা হলো, উনি কি তাহলে ওনাদের উদ্ভাবিত কিট ব্যবহারের সরকারি অনুমোদন দেখে যেতে পারবেন না?

মানুষ মাত্রেই মরণশীল, সবাই মারা যায়। এই দফায় উনি যদি বেঁচেও যান, তার মানে তো আর এই নয় যে- উনি আর কখনোই মরবেন না। ওনার বয়স ৭৯, জটিল কিডনি রোগে ভুগছেন। প্রকৃতির নিয়মেই উনি মারা যাবেন, হয়তো বছর কয়েক পরে ঘটবে সেটা।

তারচেয়ে বরং এখন মরে যাওয়াই ভালো। উনি মরে গেলে অনেক সুবিধা, অনেকের সুবিধা। উনি আছেন বলেই ইচ্ছে মত ওষুধের দাম বাড়াতে কোম্পানিগুলোকে একটু হলেও চিন্তা করতে হয়, ডেলিভারি মানেই সিজারিয়ান- এই মতবাদ প্রচারে দ্বিধা করতে হয়, বিরোধী দল মানেই নিজেদের মধ্যে অনৈক্য- এমন ধারণা বাধাগ্রস্থ হয়, চোখ রাঙিয়ে বা লোভ দেখিয়ে সকলের মুখ বন্ধ করে রাখা যাবে- এমন চিন্তাও ভুল প্রমাণিত হয়, বিদেশে বসে উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপিত হয়। সর্বোপরি ওনার কারণেই গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত করোনাভাইরাস টেস্ট কিটের অনুমোদন আটকে দিতে বিখ্যাত সব লোকদের সারাক্ষণ নানামুখি ফন্দিফিকির করতে হয়, এমনকি ঈদের দিনেও ভুলভাল ভাষায় প্রজ্ঞাপন জারি করতে হয়।

আমার এক পরিচিতজন, যিনি বর্তমান সরকার ও প্রশাসনের মধ্যে কোনই ভুল খুঁজে পান না, তিনি পুরো বিষয়টা নিয়েই তার সন্দেহের কথা আজ আমাকে জানালেন। বললেন, আসলেই তার করোনা সংক্রমণ হয়েছে তো? উনি কি পিসিআর টেস্ট করেছেন? ওনাদের কিট দিয়ে পরীক্ষা করেছেন। কিন্তু ওই কিট তো এখনো সরকারের অনুমোদনই পায়নি।

তাই তো! বিষয়টি নিয়ে এভাবে তো চিন্তা করিনি! তবে বন্ধুটির প্রতি কিছুটা কৃতজ্ঞতাও অনুভব করলাম। ভাগ্যিস তিনি বলেননি যে- সরকার কর্তৃক অননুমোদিত কিট দিয়ে করোনা পরীক্ষা করিয়ে ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী প্রকারান্তরে সরকারকে চ্যালেঞ্জই করেছেন। এজন্য ওনার শাস্তি হওয়া উচিত!
তার চেয়ে ওনার বরং এখন মরে যাওয়াই ভালো। উনি যদি এখন মরে যান, তাহলে অন্তত এতটুকু তো বলা যাবে- গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত কিটের পরীক্ষা সঠিক হয়!

আমার তো মনে হয় ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরীর এদেশে জন্ম নেয়াটাই ঠিক হয়নি! উনি এই দেশের জন্য বড়ই আনফিট। মানুষ এমন দেশে কেন জন্মগ্রহণ করবে, যে দেশ তাঁকে ধারন করতে পারবে না?