ভদ্রা নদীর পানি সেদিন শহীদের রক্তে হয়েছিলো টকটকে লাল

প্রকাশিত: ৮:১৯ অপরাহ্ণ, মে ২০, ২০২০

আচ্ছা বলুন তো একস্থানে একসঙ্গে ৪ ঘন্টার মধ্যে ২০ জন সৈনিকের পক্ষে ব্রাশফায়ার করে কতোজনকে হত্যা করা সম্ভব?🙂
.
মনের মধ্যে হয়তো খেলা করছে হাজার খানেক হবে?
না সংখ্যাটা ১২০০০ এর ও বেশী।
.
২০ই মে ১৯৭১।
দিনটি ছিলো বৃহস্পতিবার। খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগর।
খুলনা ও বাগেরহাট থেকে ভদ্রা নদী পাড়ি দিয়ে নেমেছে মানুষের ঢল। উদ্দেশ্য প্রাণ বাঁচানোর তাগিদে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে যাওয়া!
.
সকাল এগারোটার কাঁটা ছুঁয়েছে ঘড়ি। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দুটি দল একটি ট্রাক ও একটি জিপ গাড়িতে এসে চুকনগর বাজারের উত্তর প্রান্তে “কাউতলা” নামক একটি স্থানে এসে থামে। পাতখোলা বাজার থেকে তারা একটানা গুলি চালানো শুরু করে। পরবর্তীতে চুকনগর বাজারের দিকে অগ্রসর হয় । বিকেল তিনটা চলতে থাকে পাশবিক এই হত্যাকান্ড।
.
সেই ভ্দ্রা নদীর পানি সেদিন শহীদের রক্তে হয়েছিলো টকটকে লাল। স্বাধীনতার পরেও বহু বছর
সেই নদীর মাছ কেউ খায়নি।
.
আর সেই শহীদে ভেজা বাংলার মাটিতে আজো চলে পাকিস্তান প্রেমীদের মিছিল! পাকিস্তান হারলে আজো চলে মাতম, জিতলে চলে জয়োল্লাস!
.
যে মাটিতে সর্বকালের সর্ব নিকৃষ্টতম গনহত্যা হয়েছিলো সেই মাটিতে দাঁড়িয়ে আজো চলে শহীদদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা! বীরাঙ্গনা আর শহীদদের সংখ্যা বিতর্ক করে চলে জগতের সর্ব নিকৃষ্ট প্রহসন! যে মাটির প্রতিটি ইঞ্চিতে মিশে থাকা রক্তের চিহ্ন সেই মাটিতেই চলে জন্ম শত্রুর সঙ্গে সন্ধিধারা!! ধর্মের নামে ভাই ভাই করে জন্ম শত্রুকে মেনে নেয় প্রিয়জন ভেবে!
আর কতোটা নিচে নামবো আমরা?
.
আজ পৃথিবীর সর্বনিকৃষ্ট গনহত্যাগুলোর একটি চুকনগর গণহত্যা দিবস। বিনম্র শ্রদ্ধা শহীদদের প্রতি। ❤️
ক্রেডিটঃ আহমেদ ইশতিয়াক