তালায় সড়কের দু’পাশে শুকনো গাছ মৃত্যু ঝুঁকিতে পথচারীরা

প্রকাশিত: ৮:৫২ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২২

বি এম বাবলুর রহমান (সাতক্ষীরা)
সাতক্ষীরা জেলার গুরুত্বপূর্ণ ইসলামকাটি তালা পাটকেলঘাটা সড়ক এই সড়কের দু’পাশে গাছগুলো শুকিয়ে ভেঙে বছর দুয়েক।শুকনো মরা গাছগুলো অপসারণ করতে কতৃপক্ষের নেই কোন খবরদারি।

সরেজমিনে দেখা গেছে তালা মুক্তিযোদ্ধা মোড় থেকে ইসলামকাটি পাটকেলঘাটা পর্যন্ত ৯ কিলোমিটার রাস্তার দু’পাশে বহু পূর্বেই রোপন করা হয়েছিল। ২০১৯-২০ সালে আম্ফান ও সিডররের গাছগুলো দুমড়ে মুচড়ে পড়ে। এখন গাছগুলো শুকিয়ে ভেঙে পড়ছে রাস্তার উপর। বর্তমানে প্রতিনিয়ত গুনে ধরা গাছগুলো অনায়াসে ভেঙে পড়ছে রাস্তার উপর । অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যাস্ততম এই সড়কে প্রতিদিন তালা উপজেলা থেকে হাজার হাজার কর্মজীবীরা জেলা সদরে যাতয়াত করেন।
এছাড়া সাতক্ষীরা আদালতে বিচারপ্রার্থীরা, সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল ও সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চিকিৎসা সেবা নিতে যাওয়া এবং পাটকেলঘাটা থেকে তালা উপজেলায় আসা সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা কর্মচারীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করেছেন।

তালা মহেন্দ্র সমিতির সভাপতি মোঃ মিন্টু সরদার , ও মোটরসাইকেল শ্রমিকের সাধারণ সম্পাদক মোঃ নজরুল ইসলাম খোকন জানান জীবনের ঝুঁকিতে যাতয়াত করেন তারা। মাঝে মাঝে হঠাৎ গাছের বড় বড় ডাল ভেঙে পড়ে। যে কোন সময়ে ভেঙে মাথার উপর পড়তে পারে। যে কোন সময়ে বিপদে পড়তে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই গাছ গুলো অপসারণ করতে অনুরোধ করেন তারা।

তালা ইসলামকাটি ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আ: আজিজ জানান কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারনে বড় ধরনের দুর্ঘটনার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি মরা গাছগুলো অপসারণ করতে জেলা পরিষদ সাতক্ষীরা প্রতি আহ্বান জানান।

তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস জানান তালা ইসলাম কাটি পাটকেলঘাটা সড়কের শুকিয়ে যাওয়া গাছগুলো জেলা পরিষদের। গাছগুলো মরে যাওয়ার ফলে মানুষের চলাচলের বিপদের আশঙ্কা রয়েছে। ইতিমধ্যে বিষয়টি জেলা পরিষদ সাতক্ষীরা কে অবহিত করা হয়েছে। প্রকৃত পক্ষে গাছগুলো কর্তন পূর্বক অপসারন করা অতিব জরুরী বলে জানান তিনি।

সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের সভাপতি মোঃ নজরুল ইসলাম মুঠোফোন মারফত আজকাল ২৪ কে জানান তালা থেকে পাটকেলঘাটার সড়কের গাছ গুলো সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের। অধিকাংশ গাছ শুকিয়ে যাওয়ায় রাস্তার উপর ভেঙে পড়ছে।যে কোন সময় দূর্ঘটনার সম্ভবনা বিদ্যমান, গাছগুলো কাটার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে।