দেশের প্রথম ডিজিটাল কাস্টমস হলো বেনাপোল

প্রকাশিত: ২:১৮ অপরাহ্ণ, মে ৫, ২০২১

দেশের প্রথম ডিজিটাল জেলা হয়েছিলো যশোর। সেই যশোরেই এবার হলো দেশের প্রথম ডিজিটাল কাস্টমস সেবা। দেশের আমদানি-রফতানি বাণিজ্যকে গতিশীল করতে, রাজস্ব ফাঁকি রোধে ও শুল্কায়নে স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনতে ‘বিকম’ নামে একটি নতুন সফটওয়্যার উদ্বোধন করেছে বেনাপোল কাস্টমস হাউস। স্বাধীনতার ৫০ বছর পর এই প্রথম বেনাপোল কাস্টমস হাউসই একমাত্র ডিজিটাল কাস্টম হাউসে উন্নীত হলো।

কাস্টমস সূত্র থেকে জানা যায়, আমদানি-রফতানি পণ্যবাহী ট্রাক ও পণ্যের তথ্য সংগ্রহ করতে জিরোপয়েন্টে ইতিপূর্বে কার্গো শাখায় কাস্টমস, বন্দর ও বিজিবি যৌথভাবে এনট্রি করত। ফলে একটি ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করতে সময় লাগতো ৩০ মিনিট। কিন্তু বর্তমানে ‘বিকম’ সফটওয়্যারের মাধ্যমে বারকোড ব্যবহার করার জন্য সময় লাগছে মাত্র ৫ মিনিট।

ভারত থেকে প্রতিদিন বেনাপোল বন্দর দিয়ে ৫০০ থেকে ৬০০ ট্রাক পণ্য আমদানি হয়। ভারতীয় এসব ট্রাকের অবস্থান ও কোন শেডে পণ্য আনলোড হচ্ছে তা মুহুর্তেই জানা যাচ্ছে বিকমের মাধ্যমে। আমদানিকারক ও সিএন্ডএফ এজেন্ট’র ঝুঁকিপূর্ণ পণ্যের বিশ্লেষণও দ্রত সম্ভব হচ্ছে। দেশের যেকোন স্থানে অবস্থান করেও আমাদনি-রফতানি পণ্যবাহি ট্রাকের সুনির্দিষ্ট স্থান নির্ণয় করা যাচ্ছে। এছাড়াও মুহুর্তেই জানা যাচ্ছে বকেয়া রাজস্ব, ব্যাংক গ্যারান্টি, আন্ডারটেকিং ও সিএন্ড এফ এজেন্ট লাইসেন্সের সকল তথ্য।

বেনাপোল কাস্টমসের কমিশনার আজিজুর রহমানের নির্দেশে অতিরিক্ত কশিনার ড. নেয়ামুল ইসলামের একক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশে এই প্রথম কাস্টমস হাউসে বিকম সফটওয়্যার তৈরী করা সম্ভব হয়েছে। বর্তমানে ১৫টি মডিউলের মাধ্যমে আমাদানি-রফতানি বাণিজ্য গতিশীল, শুল্কায়ন স্বচ্ছতা ও প্রতিদিন পাসপোর্ট যাত্রীদের যাতায়াত মনিটরিং, চোরাচালানী পণ্য আটকসহ কাস্টমস ও বন্দরের সার্বিক ব্যবস্থাপনা পর্যবেক্ষন করছেন কমিশনার, অতিরিক্ত কমিশনারসহ জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।এর মাধ্যমে ঝুঁকিপূর্ণ রাসায়নিক পণ্য ডিটেক্ট করা দ্রত সম্ভব হয় এবং বন্দরের গুদামে সংরক্ষিত বাজেয়াপ্ত মালামাল সমূহের অবস্থান নিশ্চিত করা যায়। পণ্যের রাসায়নিক পরীক্ষার ফলাফল জালিয়াতি করা সম্ভব নয় বলে এটি অত্যন্ত নিরাপদ একটি সফটওয়্যার।