দোকানপাট-শপিংমলে ভিড় বাড়ায় উপেক্ষিত হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি.. lorem ipsum lorem ipsum প্রকাশিত: ১০:১০ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৩০, ২০২১ । শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) সকাল থেকেই মার্কেটগুলোতে গত কয়েকদিনের তুলনায় বেশি মানুষের আনাগোনা দেখা যায়। এছাড়াও বেশিরভাগ মার্কেটে স্বাস্থ্যবিধির নির্দেশনাগুলো মানার ক্ষেত্রে অধিকাংশ মানুষ ছিলেন উদাসীন। চলমান বিধিনিষেধের মধ্যে দোকানপাট-শপিংমল খোলা থাকছে রাত ৮টা পর্যন্ত। গত সোমবার দোকানপাট খুলে দেয়ার পর মার্কেটগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় কম থাকলেও শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় ক্রেতাদের সংখ্যা বেড়েছে। তবে সেটা অন্য সময়ের তুলনায় অনেক কম। ব্যবসায়ীরা বলছেন, গণপরিবহন কম থাকায় ক্রেতারা মার্কেটে আসতে পারছেন না। এছাড়াও ঈদে মানুষ গ্রামে ফিরতে পারবে কি-না তা নিয়েও রয়েছে অনিশ্চয়তা। ফলে কেনাকাটা করছে না বেশিরভাগ মানুষ। নিউমার্কেটের ভেতরে নিচতলায় ক্রেতাদের চাপ বেশি। ফলে একজন থেকে আরেকজনের নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব হচ্ছে না। দোকানগুলোতেও কোনো ধরনের ব্যারিকেড কিংবা পদচিহ্ন দিয়ে দূরত্ব নিশ্চিত করার ব্যবস্থা করা হয়নি। নিউমার্কেটে প্রবেশের ফটক মোট চারটি। চারটি ফটকেই জীবাণুনাশক স্প্রে করার অবকাঠামো আছে কিন্তু একটিও সচল নয়। একই অবস্থা তালতলা মার্কেটেও। আর মৌচাক মার্কেটের চারটি গেটের মধ্যে সামনের প্রধান গেটে শুধু জীবাণুনাশক টানেল লাগানো রয়েছে। তবে এর থেকে ভালো অবস্থা বেইলি রোডের শপিংমলগুলোর। সেখানে ট্যানেলের পাশাপাশি ক্রেতারা ফটক দিয়ে প্রবেশ করলে তাপমাত্রা মাপার বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার স্প্রে করার ব্যবস্থা দেখা গেছে। এ বিষয়ে ব্যবসায়ী সমিতির বক্তব্য হচ্ছে, জীবাণুনাশক নিয়ে ক্রেতাদের অভিযোগ আছে। অনেকে ওই জীবাণুনাশক স্প্রের ট্যানেলের মধ্য দিয়ে যেতে চান না। আবার অনেকে প্রবেশের সময় মাস্ক পরে ঢুকে, পরবর্তীতে খুলে ফেলছেন। নিউমার্কেটে অনেক দোকানিকেও স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করে চলতে দেখা গেছে। জানতে চাইলে নিউমার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির নেতা মোজাফফর হোসেন বলেন, প্রতিটি দোকানকে বলা আছে, মাস্ক ছাড়া কেউ এলে তাদের কাছে পণ্য বিক্রি না করতে। ক্রেতাদের হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে দোকানদারদের প্রতি নির্দেশ দেয়া আছে। ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে গত রোববার থেকে সারাদেশে দোকানপাট ও শপিংমলগুলো চালু করে দেয়া হয়। সেদিন রাতেই ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, রাজধানীতে শপিংমল–দোকানপাট রাত নয়টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে। পরে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে দোকানপাট। তবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট চালাতে হবে। যদিও বাস্তবতা তার উল্টো। SHARES অর্থনীতি বিষয়: