নাসিমের জানাজায় গিয়ে যদি মারাও যাই, তবু যেতে চাই’

প্রকাশিত: ৮:৪৫ অপরাহ্ণ, জুন ১৪, ২০২০

সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ নাসিমের জানাজায় অংশ নিয়েছেন সদ্য করোনা থেকে সেরে ওঠা গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। করোনা থেকে সেরে উঠলেও অন্যান্য জটিল অসুখের কারণে জীবন শঙ্কায় থাকা এই মুক্তিযোদ্ধা বলেন, আমি যদি মোহাম্মদ নাসিমের জানাজায় গিয়ে মারাও যাই, তবু আমি তার জানাজায় যেতে চাই।
রোববার দুপুরে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানানো হয়।
ফেসবুক পেজে গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মুহিব উল্লাহ খোন্দকার বলেন, শনিবার রাতে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী যখন জানতে পারেন যে, তিনি করোনামুক্ত হয়েছেন, তখনই মোহাম্মদ নাসিমের জানাজায় যাওয়ার প্রবল ইচ্ছা পোষণ করেন। মোহাম্মদ নাসিমের সঙ্গে হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক ছিল-উল্লেখ করে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের চিকিৎসক-নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের তিনি বলেন, আমি যদি মোহাম্মদ নাসিমের জানাজায় গিয়ে মারাও যাই, তবু আমি তার জানাজায় যেতে চাই।

সেই প্রত্যয় অনুযায়ী রোববার মোহাম্মদ নাসিমের জানাজায় অংশ নেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী। রোববার সকালে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে মোহাম্মদ নাসিমের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বনানীতে নাসিমের দ্বিতীয় জানাজায় অংশ নিয়ে তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানান জাফরুল্লাহ চৌধুরী। অ্যাম্বুলেন্স থেকে নেমে নাসিমের কফিনের কাছাকাছি গিয়ে স্যালুট জানান তিনি। হাতে স্যালাইন সংযোগ দেয়া সুইয়ের ব্যান্ডেজ নিয়ে দুজন মানুষের কাঁধে ভর করে হেঁটে মরদেহের কাছে যান তিনি। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মুহিব উল্লাহ খোন্দকার ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দফতর প্রধান জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু।
স্বাস্থ্যগত কারণে এ সময় গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা না বললেও ডা. জাফরুল্লাহর সঙ্গে আসা এক সহকর্মী জানান, তিনি ও মোহাম্মদ নাসিম একসময় দেশের স্বাস্থ্য খাত নিয়ে একসঙ্গে কাজ করেছেন। রাজনৈতিক মতবিরোধ থাকলেও তাদের মধ্যে দীর্ঘদিনের সুসম্পর্ক ছিল। সেই সম্পর্কের তাগিদেই অসুস্থতা সত্ত্বেও তিনি নাসিমের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে এখানে এসেছেন।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী মোহাম্মদ নাসিমের মরদেহে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর পর বনানী কবরস্থানে ইতিপূর্বে সমাহিত ব্যক্তিদের জন্য দোয়া ও মোনাজাত করেন।