যশোরে লাগামহীন করোনা; আক্রান্তের সাথে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা

প্রকাশিত: ৭:৩৩ পূর্বাহ্ণ, জুন ১৭, ২০২১

যশোরের করোনা পরিস্থিতি দিন গেলে অবনতির দিকে যাচ্ছে। প্রতিদিন আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা। সেই সাথে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। গত বুধবারেই (১৬ জুন) যশোরে করোনা আক্রান্ত হয়ে ৫ জন মারা গেছেন। এই নিয়ে বিগত ৯ দিনে করোনায় মারা গেলেন ২১ জন।

করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য গত ৯ জুন যশোর পৌর এলাকা ও নওয়াপাড়া পৌরসভায় লকডাউন ও কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে জেলা প্রশাসন। কিন্তু পরিস্থিতি ভয়াবহ হলেও কঠোর বিধিনিষেধ ও লকডাউনের নামে যশোরে চলছে জনগণ ও প্রশাসনের লুকোচুরি খেলা। যশোর পৌর এলাকা ও আশপাশের চারটি ইউনিয়নে চলাচলে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তা মানা হচ্ছে না। প্রশাসনের তৎপরতার মধ্যেও মাঝেমধ্যেই দড়াটানার মতো গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় যানজট লাগছে।

গত কয়েকদিনের যশোরের করোনা পরিস্থিতি লক্ষ্য করলে দেখা যায়, ৯ জুন জেলায় ৩৬৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৫২ জনের করোনা শনাক্ত হয়। শনাক্তের হার ছিলো ৫৩ শতাংশ। ওই দিন করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান দুইজন। এরপর বিধি নিষেধ চলাকালেই যশোরে করোনা পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। প্রতিনিয়িত আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। বাড়ছে মৃত্যুর মিছিলও। সর্বশেষ বুধবার যশোরে ১৬৫ জন শনাক্ত হয়েছেন। ৪১২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে এই ২০৪ জনের করোনা পজিটিভ হয়েছে। এছাড়া ওইদিন জেলায় মারা গেছেন আরো পাঁচজন।
এর আগে ১৫ জুন আক্রান্ত হন ২৪৯ জন। আক্রান্তের হার ছিলো ৪৭ শতাংশ। মারা যান তিনজন। ১৪ জুন ২৪২টি নমুনা পরীক্ষা করে শনাক্ত ৯২ জন। মারা যান পাঁচজন। ১৩ জুন ৩০৪টি নমুনা পরীক্ষা করে শনাক্ত হয় ১৫০ জন। ১২ জুন ২০১টি নমুনা পরীক্ষা করে শনাক্ত হয় ৬১ জন। মারা যান তিনজন। ১১ জুন ২৬৯টি নমুনা পরীক্ষা করে শনাক্ত হয় ৭৮ জন। মারা যান দুইজন। ১০ জুন ৪৯১টি নমুনা পরীক্ষা করে শনাক্ত হয় ১৯৪ জন। মারা যান একজন।

এদিকে, করোনার এই প্রকোপ ঠেকাতে যশোর পৌর এলাকা ও নওয়াপাড়া পৌর এলাকায় কঠোর বিধিনিষেধ আরো এক সপ্তাহের জন্য বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া যশোর পৌরসভার লাগুয়া উপশহর, নওয়াপাড়া, আরবপুর ও চাঁচড়া ইউনিয়নে এই কঠোর বিধিনিষেধে জারি করা হয়েছে। কিন্তু কোনভাবেই মানুষ ঘরে থাকছেন না। সঙ্গত কারণেই প্রতিনিয়িত করোনার প্রকোপ যশোরে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। মারা যাচ্ছেন মানুষ।