শ্যামনগর উপজেলা মডেল মসজিদের পাইলিং ও ঢালাই কাজের শুভ উদ্ধোধন

প্রকাশিত: ১০:৩৩ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৬, ২০২২

এম কামরুজ্জামান, শ্যামনগর সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ

দীর্ঘ প্রতিক্ষা ও জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মহতি উদ্যোগ সারা বাংলাদেশে ৫৭০ টি মডেল মসজিদ নির্মান এর অংশ হিসেবে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা মডেল মসজিদ প্রকল্পে পাইলিং ও ঢালাই কাজের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার ৬ ডিসেম্বর সকাল ১১ টার সময় শ্যামনগর উপজেলা মডেল মসজিদের পাইলিং ঢালাই কাজের শুভ উদ্বোধন করেন সাতাক্ষীরা-৪ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য এস এম জগলুল হায়দারের প্রতিনিধি শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আলহাজ্ব জি এম আকবর কবীর। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন শ্যামনগর উপজলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো: শাহিনুল ইসলাম,গণপূর্ত অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী মো: জিল্লুর রহমান, শ্যামনগর উপজেলা অনলাইন নিউজ ক্লাবের সভাপতি মারুফ হোসেন (মিলন), প্রজেক্ট ম্যানেজার মোঃ শাহিন আলম, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ফিল্ড সুপারভাইজার মোঃ ওলিউর রহমান,নকিপুর বাজার ব্যাবস্থাপনা কমিটির সম্পাদক এসএম মোঃ ফিরোজ হোসেন।
দোয়া অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদের পেশ ইমাম মূফতি আব্দুল খালেক। সাতক্ষীরা গণপূর্ত অধিদপ্তরের বাস্তবায়ন ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান হাসান এন্ড সন্স লিমিটেড বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পটির মোট চুক্তিমূল্য নির্ধারন করা হয়েছে ১২,৪৯,১৬,৮৪৭ (বার কোটি উনপঞ্চাশ লক্ষ ষোল হাজার আট শত সাতচল্লিশ টাকা। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান সাংবাদিকদের জানান-১৮ মাসের মধ্য শ্যামনগর উপজেলা মডেল মসজিদটি নির্মান করা সম্ভব হবে।
প্রকল্প পরিচালক মোঃ নজিবর রহমান জানান, বিশুদ্ধ ইসলাম প্রচারের পাশাপাশি সামাজিক কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রে পরিণত হবে এই মসজিদগুলো। পরিচালনা করবে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।
তিনি আরো জানান, ‘‘বিশ্বে কোনো মুসলিম শাসকের একসঙ্গে ৫৬০টি মসজিদ নির্মাণ এই প্রথম।
তিন ক্যাটাগরির মসজিদের মধ্যে জেলা ও মহানগরে ৬৯টি এবং বাকিগুলো উপজেলা উপকূলীয় এলাকায় বাস্তবায়িত হবে। জেলা ও সিটি কর্পোরেশন এলাকায় প্রতিটি মসজিদ তৈরিতে ব্যয় হচ্ছে ১৫ কোটি ৬১ লাখ ৮১ হাজার টাকা। উপজেলা পর্যায়ে ১৩ কোটি ৪১ লাখ ৮০ হাজার টাকা এবং উপকূলীয় এলাকায় ১৩ কোটি ৬০ লাখ ৮২ হাজার টাকা। শুরুতে এই প্রকল্পে সৌদি সরকারের অর্থায়নের কথা থাকলেও পরে তারা করেনি। এখন পুরো প্রকল্পটিই সরকারের অর্থে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে বলে প্রকল্প পরিচালক জানিয়েছেন।মসজিদ গুলো ৪০ শতাংশ জমির ওপর জেলা পর্যায়ে চার তলা, উপজেলা পর্যায়ে তিন তলা এবং উপকূলীয় এলাকায় চার তলা ভবন। মসজিদে একই সঙ্গে ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসাবে কাজ করবে। নারীদের আলাদা নামাজ পড়ার ব্যবস্থা রয়েছে।
উপজেলা পর্যায়ের মসজিদে ৯০০ এবং জেলা পর্যায়ের মসজিদে এক হাজার ২০০ মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ পড়তে পারবেন।মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করছে গণপূর্ত অধিদপ্তর। প্রকল্পে নারী ও পুরুষের নামাজ আদায় ছাড়াও থাকছে ইসলামিক বই বিক্রয় কেন্দ্র, লাইব্রেরি, অটিজম কর্ণার, ইমাম ট্রেনিং সেন্টার, ইসলামি গবেষণা ও দাওয়া কার্যক্রম, হেফজখানা, শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম, পর্যটকদের আবাসন, হজ যাত্রীদের নিবন্ধন প্রভৃতি।
নজিবর রহমান জানান, এই মসদিগুলোতে ইবাদতের পাশাপাশি আরো অনেক সামাজিক কর্মকাণ্ড হবে। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে প্রচারের পাশাপাশি নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ ও সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম নিয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করা হবে। আর এই মসজিদগুলোর বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো প্রতিবন্ধিদের জন্য নামাজের ব্যবস্থা এবং তাদের মসজিদে প্রবেশের জন্য আলাদা র‌্যাম থাকবে।মসজিদগুলো ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকবে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অফিসও থাকবে।