সাংবাদিক নেতা পাইলটের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা।

প্রকাশিত: ৩:৩২ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২২

সাংবাদিক নেতা পাইলটের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা

 

 

বিশেষ প্রতিনিধ।

 

বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ, অন্যথায় ভিডিও ফেসবুকে ছেড়ে দিবে বলে ১০ লাখ টাকা দাবি ঘটনায় দৈনিক সমকালের শরীয়তপুর প্রতিনিধি ও দৈনিক রুদ্রবার্তা সম্পাদক শহীদুল ইসলাম পাইলটের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুরাতন ঢাকার এক নারী সাংবাদিকের সাথে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে শারিরীক সম্পর্ক গড়ে নিজ বাসাসহ বিভিন্ন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করে। ভিকটিম নিজে বাদী হয়ে ২১ ফেব্রুয়ারি বংশাল থানায় মামলাটি (নং ৬৩ ধারা ৯(১) ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের সংশোধনী ২০০৩ বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ ) দায়ের করেন। বংশাল থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক পাবেল মিয়া মামলাটি তদন্ত করছেন।

জানা গেছে, ওই নারীর সাথে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তুলেছিল শরীয়তপুরের শহীদুল ইসলাম পাইলট নামের এক সাংবাদিক। সম্প্রতি দুজনের একান্তমূহুর্তের ভিডিও চিত্রের স্কীনশর্ট, অনৈতিক কথোপকথন গত ক’দিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। সাংবাদিক নেতাদের কাছে বিয়ের স্বীকৃতি চেয়ে ব্যর্থ হয়ে ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে আত্মহত্যার হুমকি দিয়ে ফেইসবুকে পোস্ট দিলে বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসলে পুলিশ নড়েচড়ে বসে এবং তাকে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ দেন।

 

ভুক্তভোগী নারী সাংবাদিকের অভিযোগের মতে, তার সাথে শরীয়তপুরের সাংবাদিক শহীদুল ইসলাম পাইলটের সাথে একই সংগঠনের মাধ্যমে সখ্যতা গড়ে ওঠে। দুই সন্তানের মাতা ওই নারীর স্বামী ৩ বছর আগে মারা যান। এরপর থেকেই নানা ছুঁতোয় তার কাছে ফোনে, ম্যাসেঞ্জারে কল দিয়ে কিংবা সরাসরি প্রথম স্ত্রীর সাথে পারিবারিক নানা সমস্যার কথা বলে বিয়ের প্রস্তাব দেন। প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় নানা ছলছুতোয় তাকে একাধিকবার জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং গোপনে ধারণকৃত ভিডিও ভাইরাল করা হবে বলে কৌশলে ১০ লাখ টাকা দাবি করেন। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে জোর করে ঢাকার বাসায়, নারায়নগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে নিয়ে রাত্রিযাপন করেন পাইলট। বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ছিলেন। এ ঘটনার কারণে পাইলটকে গত ২৫ জানুয়ারী সংগঠন থেকে বহিস্কার করা হয়েছে।

এদিকে শরীয়তপুরের একটি সূত্র জানিয়েছেন, কয়েক বছর আগে পাইলট এলাকায় এক নারীর ঘরে অনৈতিক কাজের সময় এলাকাবাসি ধরে পুলিশে ধরিয়ে দেয়। এ ঘটনায় দীর্ঘদিন হাজতবাস করেন। পরে মামলাটি স্থানীয় এক রাজনীতিবিদের মধ্যস্থতায় বিপুল অঙ্কের টাকার বিনিময়ে সাজামুক্ত হন।