বিএনপিকে স্যালাইন দিয়েও সতেজ করা সম্ভব নয় : নৌপ্রতিমন্ত্রী lorem ipsum lorem ipsum প্রকাশিত: ১০:১৫ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৩০, ২০২১ বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন এতই অপকর্ম করেছে যে, যতই স্যালাইন এবং ওষুধ দেন না কেন এই বিএনপিকে আর জীবিত এবং সুস্থ করে তোলা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। শুক্রবার দিনাজপুরের পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয় মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত করোনার সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ ও মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি। বিরল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সবুজার সিদ্দিক সাগরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রমাকান্ত রায়ের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিনাত রহমান। প্রধান অতিথির বক্তব্যে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বিএনপি মহাসচিব বলছেন- লকডাউনের ক্র্যাকডাউন হয়ে গেছে। আমি বলবো- খালেদা জিয়া হাসপাতালে যাওয়ার মাধ্যমে বিএনপিই ক্র্যাকডাউন হয়ে গেছে। তিনি বলেন, আপনারা ক্ষমতায় থাকাকালীন এতই অপকর্ম করেছেন যে, যতই স্যালাইন ও ওষুধ দেন না কেন এই বিএনপিকে আর জীবিত এবং সুস্থ করে তোলা সম্ভব নয়। বাংলার মানুষ আপনাদের কাছে কোনো ভরসা পায় না। তিনি আরও বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে কিছু মানুষ সরকারের সমালোচনা করছে। গণমাধ্যমের সামনে যা ইচ্ছে বলছে। তাদের কোনো দায়িত্ব নেই। তাদের দায়িত্ব হচ্ছে, দেশকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দেয়া। তাদের কাজ হচ্ছে মানুষকে আতঙ্কিত করা। একটি রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব হচ্ছে জনগণকে সাহসী করে তোলা। যেটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই করোনাকালে করছেন। আর অন্যরা মানুষকে আতঙ্কিত করছেন। খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ইতোমধ্যে আমাদের নিয়ন্ত্রণে আসতে শুরু করেছে। তিনি ভারতের জনগণের জন্য সামর্থ্য অনুযায়ী করোনার সুরক্ষা সামগ্রী প্রেরণ করেছেন। নেপালে যখন ভূমিকম্প হয়েছিল তখনও সাহায্য করেছিলেন, দিনাজপুরের চাল সেখানে পাঠানো হয়েছিল। শ্রীলংকায় সাহায্য করা হয়েছে। রোহিঙ্গাদের দুই/তিন বছর ধরে আমরা তাদের মানবতার সেবা দিয়ে যাচ্ছি। নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে বিগত ৩৮ বছর শেখ হাসিনার অনেক সাহস ও বিচক্ষণতার পরিচয় আমরা দেখেছি। কিন্তু বর্তমান বিশ্ব মহামারি করোনার সময়ে তিনি সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে বাংলাদেশের মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছেন এবং মানসিকভাবে সজীব রেখেছেন। এই ধরনের অনুপ্রেরণাদায়ক নেতৃত্ব আমরা পৃথিবীতে দ্বিতীয়জন পায়নি। আমরা প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে করোনার প্রথম ঢেউ মোকাবিলা করেছি। এখন যখন দ্বিতীয় ঢেউ আসল সেটাও যথাযথভাবে মোকাবিলা করা হবে। তিনি বলেন, সরকার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে বিভিন্ন কার্যক্রম করছে। লকডাউন ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত ছিল, তা ৫ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এখন করোনা শনাক্তের হার কমে গেছে, মৃত্যু ১০০ ছাড়িয়ে গিয়েছিল। সেটা কমে আসছে। এখন বিশেষজ্ঞরা বলছেন- আগামী কয়েক দিনের মধ্যে অবস্থা আরও স্বাভাবিক হয়ে আসবে। একসময় দেশে আইসিইউয়ের সংকট ছিল কিন্তু এখন ঢাকা ও চট্টগ্রামে আইসিইউ ফাঁকা রয়েছে। সরকারের যথাযথ ব্যবস্থার কারণে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এর আগে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বিরল কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। SHARES রাজনীতি বিষয়: